সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরামের আয়োজনে ‘খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় সাজা; প্রতিহিংসার রাজনীতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মওদুদ আহমেদ বলেন, কষ্ট দেওয়ার জন্যই খালেদা জিয়াকে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নির্জন কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আপিল করার জন্য বারবার রায়ের কপি চাওয়া হলেও আমাদের তা দেওয়া হচ্ছে না। কারণ দেরিতে আপিল করা হলে তত দিন উনি কারাবাসে থাকবেন। এছাড়া আপিল করা হলে হাইকোর্টে এ মামলা টিকবে না। কারণ বিচার হয়েছে একটি ধারায় এবং শাস্তি হয়েছে অন্য আরেকটি ধারায়।
খালেদা জিয়া ছাড়া নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, নেত্রীকে মুক্ত করেই আমরা নির্বাচনে অংশ নেবো। কর্মসূচি অনুসারে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাবো। প্রয়োজনে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করবো আমরা।
দেশে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হচ্ছে। এ মামলায় একজনকেও গ্রেফতার করা হচ্ছে না। সন্দেহভাজনও কেউ নেই। কিন্তু মাত্র দুই কোটি টাকার জন্য একজন মানুষের পাঁচ বছরের জেল দেওয়া হয়েছে। এটি একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। কিন্তু খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানোর মাধ্যমে বিএনপির শক্তিকে আরও শক্তিশালী করা হয়েছে। আমরা বিএনপির মানববন্ধনে দেখেছি। এরপর অন্যান্য কর্মসূচিও দেখবো।
এসময় সংগঠনের সভাপতি নাছির উদ্দিন হাজারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলম, আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতউল্লাহ, মনিরুজ্জামান মনির, মো. ইসহাক আলী, সম্রাট শাহজাহান মিয়া, ফরিদ উদ্দিন, আমির হোসেন বাদশা প্রমুখ।
সভায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহার ও খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছেন বক্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৮
এমএএম/ওএইচ/