ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

প্রশ্নফাঁস রোধে মওদুদের পরামর্শ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ৩, ২০১৮
প্রশ্নফাঁস রোধে মওদুদের পরামর্শ

ঢাকা: পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস বন্ধে দেশের নির্দলীয় শিক্ষাবিদদের নিয়ে বসে একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরির পরামর্শ দিয়েছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে শনিবার (০৩ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ লেবার পার্টি আয়োজিত ‘প্রতিহিংসার রাজনীতি: জাতীয় নির্বাচন ও বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রশ্নফাঁস নিয়ে কথা বলেন মওদুদ।
 
তিনি বলেন, আজকে প্রশ্নপত্র ফাঁস, এমন কোনো পরীক্ষা নেই এই সরকারের আমলে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি।

আগের আমলে ১৯৯৬-২০০১ সালে নকলের উৎসব হতো, এবার প্রশ্নপত্র ফাঁস। বলতেও তাদের লজ্জা লাগে না, যেমন তারা বলে এটা সবসময় হয়ে আসছে।
 
‘এটা কখনই হয়ে আসেনি, আপনাদের আমলে হয়েছে। সরকারের মদদপুষ্ট লোকেরা এর সঙ্গে জড়িত। প্রশ্নপত্র ফাঁস, এটা যদি অন্য কোনো দেশে হতো তাহলে সরকার পদত্যাগ করতে বাধ্য হতো, শিক্ষামন্ত্রী তো দূরের কথা। সংসদে শিক্ষামন্ত্রীকে পদত্যাগের জন্য দাবি জানানো হয়েছে। তিনি ভালো মানুষ, কিন্তু তিনি ব্যর্থ হয়েছেন, তিনি পারেন নি’।
 
বিএনপি নেতা মওদুদ বলেন, আমরা সবাই এই দেশের নাগরিক। রাজনৈতিক পরিচয় ছাড়াও ব্যক্তি পরিচয় আছে। …আমার ভেতরের মন বলে গত ১০ বছরে শিক্ষা ব্যবস্থাকে নাজুক করে দেওয়া হয়েছে। এই শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে আমরা আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পরবো না। এটা বন্ধ করুন।
 
‘শিক্ষা ব্যবস্থায় যারা সত্যিকার অর্থে শিক্ষাবিদ আছেন, যারা দেশকে ভালোবাসেন, তাদেরকে নিয়ে বসে শিক্ষার জন্য একটা আলাদা ভবিষ্যৎ করুন এবং তাদের কথা মেনে চলুন। দলীয় লোক, দলীয় ভাইস চ্যান্সেলর দিয়ে হবে না। আমরা সহযোগিতা করবো, কারণ এটা একটা জাতির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্বার্থ’।
 
শিক্ষাঙ্গনে দুর্নীতি ও সিট দখল নিয়েও সমালোচনা করেন মওদুদ। তিনি বলেন, এমন কোনো ডরমেটরি, হোস্টেল নেই যেখানে ছাত্রলীগের সমর্থক ছাড়া তারা কাউকে সিট দিয়েছে। সবাইকে বের করে দিয়েছে। এরকম একটি অরাজক অবস্থায় আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় যার উপর নির্ভর করি, আজকে আমাদের ভবিষ্যতের প্রজন্ম নষ্ট করে দিয়েছে এই সরকার।
 
মওদুদ বলেন, আমরা জানতাম শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। আজকে সেই মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছে এই সরকার। এই সরকার ক্ষমতায় আসার প্রথম ৩০ দিনের মধ্যে ২০০৯ সালের পর প্রত্যেকটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে দলীয় ভাইস চ্যান্সেলর, যারা ভাইস চ্যান্সেলর ছিলেন জ্ঞানী, গুণী, মেধাবী তাদেরকে সরিয়ে দিয়ে সেখানে নিজেদের দলীয় ব্যক্তিদেরকে বসিয়েছে।
 
লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, চট্টগ্রাম বিএনপি নেতা মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, লেবার পার্টির ভাইস-চেয়ারম্যান এসএম ইউসুফ আলী, মহাসচিব ফরিদ উদ্দিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০১৮ 
এমআইএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।