পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী দেশে বর্তমানে ২৭ লাখ বেকার রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে না। অর্থনৈতিক বৈষম্য বাড়ছেই।
বুধবার (২১ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন মওদুদ। ঢাকায় বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে এ বৈঠকটি করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা।
মওদুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পদে থেকে রাষ্ট্রীয় খরচে নির্বাচনী প্রচারণা আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তিনি (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারেন না। আমরা এমন একটি নির্বাচন চাই, যে নির্বাচনে সব দল অংশ নিতে পারবে। একইসঙ্গে বিরোধী দলকে সব প্রকার নির্বাচনী প্রচারণার সুযোগ দিতে হবে।
নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন চাইলে সরকারকে চিঠি দিতে পারে, অনেক ছোট দলও দলীয় কর্মসূচি পালন করতে পারে, অথচ আমাদের ঘরোয়া বৈঠক পর্যন্ত করতে দেওয়া হচ্ছে না।
চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যকে ‘রাজনৈতিক’ উল্লেখ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, আমাদের সুযোগ দিলে প্রতিটি কথার জবাব দেওয়া যায়।
বৈঠকে মওদুদ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আবদুল মইন খান, মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবিহউদ্দিন আহমেদ, রিয়াজ রহমান, নির্বাহী সদস্য তাবিথ আওয়াল, সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা প্রমুখ।
কূটনীতিকদের মধ্যে সৌদি আরব, সুইজারল্যান্ড, সুইডেন, স্পেনের রাষ্ট্রদূত এবং অস্ট্রেলিয়া, তুরস্ক, জাপান, নেদারল্যান্ডের উপ-রাষ্ট্রদূত এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) ও ইউএসএইডের কান্ট্রি ডিরেক্টরসহ আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৯ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৮
এএম/এইচএ
** কূটনীতিকদের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক