শুক্রবার (২৩ মার্চ) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, লর্ড কার্লাইল একজন ব্রিটিশ আইনজীবী।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের দলের লোক কেউ বিতর্ক তৈরি করেনি, করছেন না। টকশোতে কয়েকজনকে টেনে নিয়ে এসে বিতর্ক সৃষ্টি করলে জনগণ সেটাতে পাত্তা দেয় না।
রিজভী আহমেদ আরও বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির চলমান আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হবে। খালেদা জিয়াকে বন্দি করে সরকার যে ভয়ানক ফন্দি আঁটছে সেটা এখন দেশের মানুষের কাছে সুস্পষ্ট হয়ে উঠছে।
এখন আমাদের প্রধান কর্মসূচি হচ্ছে বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তি। আমরা সেটিকেই সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছি। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে তার নেতৃত্বে সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি আদায় করবো।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। বিএনপি আগামী নির্বাচনে অংশ নিয়ে মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিয়ে সরকার গঠন করা হবে। সরকার তাকে বাইরে রেখে ভোটের যে ষড়যন্ত্র করছে তা কখনও সফল হবে না।
তিনি বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশে যে আন্দোলন গড়ে উঠেছে তাতে ভীত হয়ে সরকার তাকে জেলে আটকে রেখেছে। কিন্তু আমরা সরকারকে বলতে চাই, জনগণ আন্দোলনের মাধ্যমে নেত্রীকে মুক্ত করে আনবে। আর খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে অচিরেই দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে।
খালেদা জিয়ার মামলার বিষয়ে রিজভী আহমেদ বলেন, সরকার মিথ্যা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সাজা দিয়ে খালেদা জিয়াকে বন্দি করেছে। এখন তার জামিন বিলম্ব করতে ওকালতনামায় স্বাক্ষর নিতে বাধা দিচ্ছে। গত কয়েকদিনে বেশ কয়েকটি মামলার ওকালতনামায় খালেদা জিয়ার সই নিতে গিয়ে কারা কর্তৃপক্ষের অনুমতি না পেয়ে আইনজীবীরা ফিরে এসেছেন। এজন্য এসব মামলায় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া যাচ্ছে না।
রিজভী বলেন, সরকার খালেদা জিয়ার মামলায় একের পর এক হস্তক্ষেপ করে যে নোংরা খেলা খেলছে, তা দেখে গোটা জাতি শুধু বিস্মিত নয়, ধিক্কার জানাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন-বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, বেলাল আহমেদ ও আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৮
আরআর