শনিবার (২৪ মার্চ) রাতে রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৈঠকে জোটের নেতারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর আগে সন্ধ্যা ৭টায় দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে এ বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, খালেদার মুক্তির আন্দোলনে ২০ দলীয় জোটের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করবেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মোহাম্মদ মঞ্জুর হোসেন ঈসা বাংলানিউজকে বলেন, বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ছাড়া শরিকরা নির্বাচনে যাবে না। তাকে মুক্ত করে তবেই নির্বাচনে অংশ নেবে ২০ দলীয় জোট। এছাড়া বিএনপি ঘোষিত খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সব কর্মসূচিতে জোট অংশ নেবে।
বৈঠকে বিএনপি নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
জোটের শরিক দলগুলোর নেতাদের মধ্যে ছিলেন- জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য আব্দুল হালিম, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আব্দুল কাদের, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মহাসচিব শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহীম, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান এমএ রকিব, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লূৎফর রহমান, বাংলাদেশ ইসলামী পার্টির মহাসচিব মোহাম্মদ আব্দুল কাশেম, সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম-সম্পাদক (মুমিন-কাসেমি) শাহীনুর পাশা চৌধুরী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম-সম্পাদক (ওয়াক্কাস-শেখ মুজিব) গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, ডেমোক্রেটিক লীগের সাইফুদ্দিন মনি, ন্যাপ-ভাসানীর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, জাতীয় পার্টির (জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামান হায়দার, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ, বাংলাদেশ পিপলস লীগের গরীব নেওয়াজ, লেবার পার্টির ডা. মুস্তাফিজুর রহমান ইরান ও ইমদাদুল হক চৌধুরী।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৮
এএম/আরআর