রোববার (২৫ মার্চ) সকাল সাড়ে দশটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে তুলে মধুর ক্যান্টিনে নেওয়া হয়। সেখানে তাকে ঘণ্টাব্যাপী জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পূর্বঘোষিত পরিষ্কার অভিযান কর্মসূচি পালনের লক্ষ্যে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে জড়ো হয়। এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিদার মুহাম্মদ নিজামুল ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম এহতেশাম আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ওই শিক্ষার্থীকে ধরে মধুর ক্যান্টিনে নিয়ে আসেন। এসময় ঘটনাস্থলে অবস্থান নিয়েছিলেন ছাত্রলীগের কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক রাকিব হোসেনসহ বেশ কিছু নেতাকর্মী।
তুলে আনার পর মধুর ক্যান্টিনের গোল ঘরে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন, আইন বিষয়ক সম্পাদক আল নাহিয়ান খান জয় ওই শিক্ষার্থীকে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, ‘কাউকে তুলে আনা হয়নি। ওরা আমাদের সঙ্গে কথা বলতে এসেছে। ’
অপরদিকে ‘বাংলাদেশ সাধারণ শিক্ষার্থী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’ বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী শিক্ষা সনদ গলায় ঝুলিয়ে পরিষ্কার অভিযান কর্মসূচি পালন করে। সারাদেশে ঘোষিত এ কর্মসূচি পালনে চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কোটা ৫৬ ভাগ থেকে ১০ ভাগে নামিয়ে আনাসহ ৫ দফা দাবিতে আগামী ২৯ মার্চ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নাগরিক সমাবেশের ডাক দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৮
এসকেবি/ওএইচ/