বুধবার (২৮ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‘বিএনপি-জামায়াতের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সমাবেশ ও মানববন্ধনে’ তিনি এমন সমালোচনা করেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জার্মানির সংগঠনটি একটি পেড সর্বস্ব ভুয়া সংগঠন।
মির্জা ফখরুল, মওদুদসহ বিএনপির অনেক নেতা আছেন, যারা রাজনৈতিক কাক ছাড়া অন্য কিছু নয়- এমন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বলেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে রাজনৈতিক কাকদের সমন্বয়ে বিএনপি গঠন করেছিলেন। বিএনপিতে অনেক নেতা আছেন যারা বাইচান্স বিএনপি অথবা বাইঅ্যাক্সিডেন্ট বিএনপি। আবার অনেকেই আওয়ামী লীগের নমিনেশন না পেয়ে বিএনপি হয়েছে।
বিএনপি এখন দুর্নীতিবাজদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, তাদের গঠনতন্ত্রের সাত ধারা বাতিলের মাধ্যমে তারা যারা দুর্নীতির দায়ে শাস্তিপ্রাপ্ত হয়েছেন, সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন তারা যাতে বিএনপির নেতা হতে পারেন সে ব্যবস্থা করেছেন। দুর্নীতিবাজদের জন্য এটি একটি সুখবর। তাদের বর্তমান রাজনীতি হচ্ছে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত হয়ে কারাগারে দণ্ড ভোগ করা খালেদা জিয়া এবং তার ছেলে যিনি দুর্নীতির দায়ে দশ বছরের সাজাপ্রাপ্ত এই দু’জনকে রক্ষা করা। সুতরাং আজকে যখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের তালিকাভুক্ত হয়েছে তখনই বিএনপি-জামায়াত দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে সমস্ত পৃথিবীতে।
‘খালেদা জিয়াকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি নির্বাচনে যাবে’ মির্জা ফখরুলের সাম্প্রতিক বক্তব্যের জবাবে সাবেক বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমরাও চাই আপনারা খালেদা জিয়াকে নিয়ে নির্বাচন করেন। এজন্য জোর আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উনাকে মুক্ত করার চেষ্টা করুন। তবে বিএনপির বর্ণচোরা আইনজীবীদের নিয়ে সেই চেষ্টা সফল হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন রাখেন তিনি।
আয়োজক সংগঠনের সহ-সভাপতি চিত্রনায়ক ড্যানি সিডাকের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ফালগুনী হামিদ, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমানসহ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৮
এসএইচ