বৃহস্পতিবার (২৯ মার্চ) কক্সবাজার জেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শহরের শহীদ দৌলত ময়দানের যুব সমাবেশে ওমর ফারুক আরো বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্ব উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা যুবলীগের সভাপতি খোরশেদ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে যুবলীগ চেয়ারম্যান আরো বলেন, লেখাপড়া করেও বাংলাদেশে অনেক যুবক বেকারত্বের অভিশাপ নিয়ে দিন কাটাচ্ছে। কিন্তু সুখবর হচ্ছে তারা যদি ডিজিটাল শিক্ষার সঙ্গে তাল মেলাতে পারেন তাহলে বেকারত্ব ঘুচাতে পারবেন। আগামী প্রজন্মকে আর চাকরির জন্য প্রেমিকা হারাতে হবে না, কারণ তারা বর্তমানে ডিজিটাল শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে শিক্ষা জীবন শেষ করার সঙ্গে সঙ্গে চাকরি পেয়ে যাবে। শেখ হাসিনার এই ডিজিটাল বাংলাদেশের পূর্ণাঙ্গ রূপ দেখতে আর বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে না।
ওমর ফারুক বলেন, বর্তমান উন্নয়নের ও সুশাসনের সরকারের ধারাবাহিকতা রক্ষায় দলীয় নেতাকর্মীদের আরো ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ঐক্যবদ্ধ থেকে আগামী নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের বিজয় নিশ্চিত করতে আপ্রাণ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
কক্সবাজার জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আতাউর রহমান আতা, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠিনক সম্পাদক বদিউল আলম বদি, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আমির হোসেন গাজী, সহ-সম্পাদক হাবিবুর রহমান পবন, কক্সবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহামদ চৌধুরী, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, উখিয়া-টেকনাফ আসনের সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি, মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক।
এর আগে বেলা ১২টায় যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী পতাকা উত্তোলনে মাধ্যমে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। সকাল ৯টা থেকে যুবলীগের কাউন্সিলসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা সম্মেলন স্থলে সমবেত হতে থাকে। সকাল ১০টায় সম্মেলন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও অতিথিদের আসতে দেরি হওয়ায় দু’ঘণ্টা পরে বেলা ১২টায় সম্মেলন শুরু হয়। সম্মেলনের পর কাউন্সিল অধিবেশন কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কাউন্সিলে সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন সোহেল আহম্মদ বাহাদুর, সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নূরুল আজিম কনক ও জেলা যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ এবং সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হয়েছেন শহীদুল হক সোহেল, শোয়েব ইফতেখার, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আলী আহামদ। তবে শেষ মুহূর্তে প্রার্থীতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ইফতেখার উদ্দীন পুতু, মাসুকুর রহমান বাবু ও ডালিম বড়ুয়া।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৮
টিটি/এসএইচ