শনিবার (৭ এপ্রিল) সকালে আলমডাঙ্গা উপজেলার যুগিরহুদা গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত হেলালুল ইসলাম যুগিরহুদা গ্রামের মৃত একদিল বিশ্বাসের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, শনিবার সকালে বাড়ির অদূরে একটি মাঠে ধান ক্ষেতে পানি দিচ্ছিলেন হেলালুল ইসলাম। সকাল পৌনে ৯টার দিকে ৪/৫ জন দুর্বৃত্ত প্রকাশ্যে তার ওপর হামলা চালায়। এ সময় তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে উপর্যুপরি কুপিয়ে জখম করে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়রা হেলালকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মারা যায় সে।
নিহতের স্ত্রী রাজিয়া খাতুন দাবি করে বলেন, কয়েকদিন আগে প্রতিবেশী মানিককে ইয়াবাসহ গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনায় আমার স্বামীকে দায়ী করে বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে থাকে সদ্য হাজতমুক্ত মানিক। একপর্যায়ে আজ তাকে কুপিয়ে হত্যা করলো।
প্রতিবেশী তোফাজ্জেল ইসলাম জানান, মানিকসহ তার সহযোগীরা গ্রামের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। বিএনপি নেতা হেলালুল ইসলাম গ্রামে মাদক বিক্রির বিরুদ্ধে সোচ্ছার ছিলেন। এর কয়েকদিনের মাথায় মানিক ইয়াবাসহ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন।
ঘটনার পর চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কলিমুল্লাহ সদর হাসপাতাল পরিদর্শন করেন এবং নিহতের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তিনি বাংলানিউজকে বলেন, অভিযুক্ত মানিককে গ্রেফতারে ইতোমধ্যে পুলিশের দু’টি টিম মাঠে নেমেছে। খুব শিগগিরই তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
এদিকে, বিএনপির এ নেতার মৃত্যুতে সদর হাসপাতালে ভীড় জমাতে থাকে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মজিবুল হক মালিক মজু জানান, নিহত হেলাল ছিলেন শহীদ জিয়ার আদর্শের একজন নিবেদিত কর্মী। হেলালকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে দ্রুত হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০১৮
আরএ