রোববার (৮ এপ্রিল) দুপুরে গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রাশেদা সুলতানা তার সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। এসময় মামলার প্রধান আসামি আব্দুল কাদের খানসহ অন্য আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, এ মামলায় দুই দফায় সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ পিছিয়ে ৮ এপ্রিল নির্ধারণ করেন বিচারক রাশেদা সুলতানা।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. শফিকুল ইসলাম শফিক বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, ফাহমিদা আদালতকে বলেন, প্রধান আসামি আব্দুল কাদের খানসহ অন্য আসামিরা লিটনকে হত্যা করেছেন। এসময় হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গার শাহবাজ (মাস্টারপাড়া) গ্রামে নিজ বাড়িতে আততায়ীর গুলিতে নিহত হন মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। এ ঘটনায় লিটনের বোন ফাহমিদা বুলবুল কাকলী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা চার-পাঁচজনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে ২০১৭ সালের ৩০ এপ্রিল জাতীয় পার্টির নেতা একই আসনের সাবেক এমপি অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আব্দুল কাদের খাঁনসহ আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
চার্জশিটভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা চন্দন কুমার, আব্দুল কাদের খানের পিএস শামছুজ্জোহা, তার ব্যক্তিগত গাড়ি চালক আব্দুল হান্নান, ভাড়া করা খুনি মেহেদী হাসান, শাহীন মিয়া, রানা মিয়া ও কসাই সুবল চন্দ্র। আসামিদের মধ্যে চন্দন কুমার পলাতক। বাকিরা কারাগারে আছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০১৮
এসআই