রোববার (৮ এপ্রিল) বিকেলে শহরের বালিকা বিদ্যা নিকেতন মাঠে ছাত্রলীগের প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন উৎসব অনুষ্ঠান চলাকালে এসব ঘটনা ঘটে। পরে কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগের হস্তক্ষেপে নেতাকর্মীরা শান্ত হয়।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি চৌধুরী মাহমুদুন্নবী সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক রাকিব হোসেন লোটাসের অনুসারীরা এ সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে।
এ নিয়ে দু’গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ফের যেকোনো মুহূর্তে সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
দলীয় সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলে ছাত্রলীগের প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন উৎসব চলাকালে চন্দ্রগঞ্জ থানার ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক কাজী মামুনুর রশিদ বাবলুর নেতৃত্বে একটি মিছিল সমাবেশস্থলে আসে। এসময় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিব হোসেন লোটোসের অনুসারীরা তাদের বাধা দেয়। এ নিয়ে দফায়-দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ায় জড়িয়ে পড়ে নেতাকর্মীরা। সংঘর্ষ চলাকালে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলের অর্ধ শতাধিক প্লাস্টিক চেয়ার ভাঙচুর করে। বাবলু জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির অনুসারী।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি চৌধুরী মাহমুদুন্নবী সোহেল বলেন, সমাবেশস্থলে জায়গা ছিল না। এসময় চেয়ারে বসা নিয়ে কিছু নেতাকর্মীর মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়। পরে আবার সব ঠিক হয়ে যায়।
অনুষ্ঠানে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি চৌধুরী মাহমুদুন্নবী সোহেলের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা এমএ মমিন পাটওয়ারী, শামছুল ইসলাম পাটওয়ারী, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা কাজী এনায়েত, নুরুল করিম জুয়েল, দিদার মোহাম্মদ নিজামুল ইসলাম, নাহিদুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা নুরনবী চৌধুরী, বিজন বিহারী ঘোষ, আবদুল মতলব, রাসেল মাহমুদ মান্না, নজরুল ইসলাম ভুলু ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিব হোসেন লোটাস প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০১৮
এসআর/আরএ