মঙ্গলবার (১০ এপ্রিল) আটকদের মধ্যে একজনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপরজনকে বুধবার (১১ এপ্রিল)আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেলা কারাগারে পাঠানো হবে।
আটকেরা হলেন- ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের দিয়ার সাহাপুর গ্রামের আব্দুল গনির ছেলে এবং সাহাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ১ নম্বর ওয়ার্ড শাখার সাংগাঠনিক সম্পাদক ইমন ইসলাম (২২) ও ছলিমপুর ইউনিয়নের মানিকনগর গ্রামের ডা. কাজি সাইফুল ইসলামের ছেলে ছাত্রলীগ কর্মী তৌফিক হাসান বৃত্ত (২০)
পাকশী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম শহীদ বাংলানিউজকে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ভোরে সাহাপুর ইউনিয়নের দিয়ার সাহাপুর গ্রাম থেকে ইমনকে আটক করা হয়। বিকেলে তিনি পাবনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-এর আমলি আদালত-১ এর ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিমের কাছে ছাত্রলীগ সভাপতি পিন্টু হত্যা সম্পর্কিত চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলে আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ছলিমপুর ইউনিয়নের মানিকনগর এলাকা থেকে বৃত্তকে আটক করা হয়।
ঈশ্বরদী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাকিবুল হাসান রনি বাংলানিউজকে জানান, কোনো ছাত্রলীগ কর্মী এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকলে তাকে বহিষ্কার করা হবে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিম উদ্দিন জানান, মামলার তদন্তের স্বার্থে অনেক কিছু গোপন রাখতে হচ্ছে। গত ২ এপ্রিল নিহত পিন্টুর বাবা আজাদ মাল বাদী হয়ে নয়জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। অন্যদের আটকের চেষ্টা চলছে।
প্রসঙ্গত, গত ১ এপ্রিল সন্ধ্যায় কুপিয়ে ও গুলি করে গুরুতর আহত অবস্থায় পিন্টুকে রূপপুর মোড়ে ফেলে রেখে যায় প্রতিপক্ষরা। পরে ২ এপ্রিল ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পিন্টুর মৃত্যু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৮
আরআর