শুক্রবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ দাবি করেন ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ও কেন্দ্রের নেতারা। বাংলা বর্ষবরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের প্রস্তুতি জানাতে সংবাদ সম্মেলনটির আয়োজন করা হয়।
ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি আবিদ আল হাসান বলেন, সেদিন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। আমাদের কাছে মনে হয়েছে সেদিন এশাকে বাঁচানোই আমাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল। সেই লক্ষ্যেই আমরা এশাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। তবে এখন অভিযোগটি প্রমাণ হয়নি।
এশার ওপর ছাত্রীদের চড়াও হওয়ার যেমন ভিডিও বের হয়েছে, তেমনি এশার হাতে ছাত্রীদের নিপীড়নেরও অডিও ছড়িয়ে পড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, এরকম অভিযোগ ভিত্তিহীন। এটা একটা গুজব। অডিও’র ভয়েস কার ছিল তা আমরা এখনও নিশ্চিত নই।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স বলেন, আন্দোলনকারী সেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা এশাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এখন তদন্তের মাধ্যমে সঠিক সিদ্ধান্তে এসেছি।
এক প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, কোটা সংস্কারে আন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে হামলা হয়েছে। আমরা সেখানে গিয়ে উপাচার্যকে বাঁচিয়েছি। ছাত্রলীগ পাশে থেকে রক্ষা না করলে কেউ বেঁচে থাকতেন না। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কাছে সবাই নিরাপদ।
গত ১০ এপ্রিল রাতে অভিযোগ ওঠার পরপরই এশাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও শুক্রবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সে আদেশ প্রত্যাহার করে ছাত্রলীগের এ নেত্রীকে স্বপদে বহাল করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৮
এসকেবি/এনএইচটি/এইচএ/