বুধবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে সনদ প্রদান অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। ইউএসএইড ও ইউকেএইড-এর অর্থায়নে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের ‘স্ট্রেংদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ ইন বাংলাদেশ প্রজেক্ট (এসপিএল)’ এর অধীনে এ কর্মসূচি বাস্তবায়িত হয়।
৪ মাস আগে ঢাকায় আবাসিক প্রশিক্ষণ পর্বে রাজনৈতিক নেতৃত্ব বিকাশে ফেলোশিপ কর্মসূচির দশম ব্যাচের কর্মশালা শুরু হয়। ১০ম ব্যাচে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ১১ জন ও বিএনপির ১০ তরুণ নেতা ফেলোশিপ গ্রাজুয়েশন সার্টিফিকেট গ্রহণ করেন।
সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্যে ডিআই-এর চিফ অফ পার্টি কেটি ক্রোক বলেন, আমি ফেলোশিপ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া তরুণ রাজনৈতিক নেতাদের কর্মদক্ষতায় খুবই আশাবাদী। আমি বিশ্বাস করি তারা তাদের এই শিক্ষার সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থার অগ্রগতি করতে সক্ষম হবেন।
তিনি বলেন, গ্রাজুয়েশনের পর ১০ম ব্যাচের ফেলোবৃন্দ ডিআই-এর ফেলো অ্যালামনাই নেটওয়ার্কে যোগ দেবেন। সারাদেশের ২২৮ জন তরুণ রাজনৈতিক ফেলো এই নেটওয়ার্কের সদস্য; তারা ১৫ হাজারেরও বেশি তরুণ সম্ভাবনাময় রাজনৈতিককর্মীকে বিভিন্ন অ্যাডভোকেসি ক্যাম্পেইন ও সভা-সমাবেশে অন্তর্ভুক্ত করবেন। এই ফেলোশিপ কর্মসূচির উদ্দেশ্য হচ্ছে তৃণমূল ও জাতীয় পর্যায়ের তরুণ রাজনৈতিক নেতাদের দায়িত্বশীল নেতা হিসেবে দক্ষতা বৃদ্ধি করা।
ইউএসএইডের ডেপুটি মিশন ডিরেক্টর জেইনাহ সালাহি তরুণ নেতৃত্বের উদ্দেশে বলেন, নির্বাচন যখন অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক হয় তখন ভোটাররা সেটার ফল মেনে নেন। নেতা হিসেবে উদাহরণ তৈরি করা আপনাদের দায়িত্ব, জনগণ আপনাদের দিকে তাকিয়ে আছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশারফ হোসেন, সাবেক এমপি ও বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রাশেদা বেগম হীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৮
এমএইচ/এমজেএফ