রোববার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সম্প্রতি তার (বাণিজ্যমন্ত্রীর) ভিয়েতনাম সফর ও নেপালের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাত উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
তোফায়েল বলেন, নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই। নির্বাচনকালীন সরকারে কে থাকবেন, কে থাকবেন না, তা ঠিক করবেন প্রধানমন্ত্রী। নির্বাচন কমিশন একটি গ্রহণযোগ্য অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান করবেন। নির্বাচনকালীন সরকার তাদের সহায়তা করবেন। ওই সরকারের দৈনন্দিন কাজ চালানো ছাড়া আর কোনো কাজ থাকবে না।
তিনি জানান, ভারত, শ্রীলঙ্কা, যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়াসহ পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই এ নিয়মে নির্বাচন হয়।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ড. কামাল হোসেনরা যে যুক্তফ্রন্ট গঠন করছেন তাকে আমরা স্বাগত: জানাই। গণতান্ত্রিক দেশে মাল্টি অ্যাল্যায়েন্স হতে পারে। আমরা আগেও এমন জোট করেছি। বিএনপিও করেছে। আমরা বর্তমানে ক্ষমতায় আছি এমনই একটি জোট করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে। তাই তাদের বলবো নির্বাচনে আসুন। দেখুন জনগণ কতোটা ভোট দেয়। ভোট দিলে ক্ষমতায় যাবেন। কোনো সমস্যা নাই।
‘তবে জনগণ দলছুটদের পছন্দ করেনা। বারবার নীতি পরিবর্তনকারীদেরও পছন্দ করেনা। ’ -মন্তব্য করেন তোফায়েল আহমেদ।
জাতিসংঘের মহাসচিবের দাওয়াত নিয়ে মিথ্যাচার ও ডেস্ক অফিসারের সঙ্গে বৈঠক দেশের জন্য অপমানকর বলে মন্তব্য করেন তোফায়েল আহমদ।
তিনি বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিব গুতেরাস বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে দাওয়াত দেননি। বিএনপি নিজে থেকেই জাতিসংঘ মহাসচিবের সাক্ষাতকার প্রার্থনা করে। কিন্তু মির্জা ফখরুল যখন যুক্তরাষ্ট্রে গেলেন, তখন জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরাস সাবেক জাতিসংঘ মহাসচিব কফি আনানের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নিতে আফ্রিকা মহাদেশের ঘানায় অবস্থান করছেন।
তাই তারা একজন ডেস্ক অফিসারের সঙ্গে দেখা করেছেন। ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাংলাদেশের মতো একটি স্বাধীন মর্যাদাশীল রাষ্ট্রের একটি উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক দল ও জোটের মহাসচিব। তিনি একজন ডেস্ক অফিসারের সঙ্গে বসলে দেশের বদনাম হয়। এটা তার সম্মানের সঙ্গে যেমন বেমানান, তেমনি দেশের জন্যও অপমানকর।
তোফায়েল বলেন, আন্তর্জাতিক বিশ্বে নালিশ দিয়ে কেউ বাংলাদেশের নির্বাচন আটকাতে পারবেনা। বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। আন্তর্জাতিক বিশ্বে গিয়ে সবাই নালিশ দিতে পারবে। কিন্তু নির্বাচন হবে দেশের সংবিধান মেনে। কারো নালিশ বা হুমকি অনুযায়ী না।
তিনি বলেন, এ ধরনের কমপ্লেইন সারা বিশ্বে চলছে। চলবে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচন সম্পর্কে বিএনপির কমপ্লেইন বিষয়ে তোফায়েল বলেন, সে নির্বাচন সারা বিশ্ব গ্রহণ করেছে। এরপরই সাবের হোসেন চৌধুরী ও জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীরা সারা বিশ্বে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৮
আরএম/এসএইচ