নোয়াখালী: প্রতিবাদ সভাকে কেন্দ্র করে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী বাজারে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন উভয়পক্ষের অন্তত ৩০ জন।
সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত চৌমুহনী পাবলিক হল এলাকায় দফায় দফায় এ সংঘর্ষ চলে।
স্থানীয়রা বাংলানিউজকে জানান, গত ১৩ সেপ্টেম্বর বেগমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আক্তারুজ্জামান আনছারীর ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার বিকেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে চৌমুহনী পাবলিক হল চত্বরে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী প্রতিবাদ সভায় যোগ দিতে বিভিন্ন স্থান থেকে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে পাবলিক হলে সমবেত হতে থাকেন। সভা শুরুর একটু আগে স্থানীয় সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরণের সমর্থকদের সঙ্গে চৌমুহনী পৌরসভার মেয়র ও পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি আক্তার হোসেন ফয়সালের সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর একপর্যায়ে উভয়পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ, চেয়ার ভাঙচুর, ককটেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শর্টগানের ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে, সংঘর্ষ চলাকালে চৌমুহনী বাজারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে দোকানপাট বন্ধ করে দেন ব্যবসায়ীরা। বাজারের ওপর ফেনী-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কে দু’পাশে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৈকত শাহিন বাংলানিউজকে জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শর্টগানের অন্তত একশ’ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৮
এসআই
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।