তিনি বলেন, নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণা হবে, মনোনয়নপত্র জমা, বাছাই, প্রত্যাহার এমনকি ভোট গ্রহণের দিনও এসে পড়বে, শুধু ভোটকেন্দ্রে ভোটার থাকবে না। আর বিএনপিসহ বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের থাকতে হবে কারাগারে অথবা পলাতক হয়ে।
বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, একতরফা নির্বাচনের জন্য বর্তমান ‘অবৈধ সরকার’ সব কাজ বাদ দিয়ে এখন একটা কাজই করছে, তা হলো দেশজুড়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের গণমামলা ও গণগ্রেফতার।
মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর, নরসিংদী, পিরোজপুর এবং রাজশাহীসহ সারাদেশের বিভিন্ন জেলায় মোট ৪টি বানোয়াট ও অসত্য মামলা দেয়া হয়েছে, আসামি করা হয়েছে ৪৩২ জনকে। গ্রেফতার করা হয়েছে হাবীব-উন-নবী খান সোহেলসহ ৯৩ নেতাকর্মীকে।
তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সেবা দিতে নানাভাবে বাধা দিচ্ছে সরকার। আগে নিয়মিত ফিজিওথেরাপি দিতেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের একজন সিনিয়র অভিজ্ঞ থেরাপিস্ট। পরে তাকে পরিবর্তন করে সরকারদলীয় মনোভাবাপন্ন একজন নতুন অনভিজ্ঞ থেরাপিস্টকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে, যা রহস্যজনক। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের মেডিকেল বোর্ডে রাখা হয়নি।
রিজভী বলেন, বহুল আলোচিত ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় তাড়াহুড়া করে ৩ হাজার ৮২৫ কোটি টাকার এ প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ জনসমাজের নানাস্তরের সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান ইভিএম আগামী নির্বাচনে ব্যবহার না করার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আপত্তি জানিয়েছিল। প্রধান নির্বাচন কমিশনারও সেই আপত্তিতে সাড়া দিয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচনে ব্যবহার হবে না বলে জানিয়েছিলেন। অথচ মঙ্গলবার একনেকে দেড় লাখ ইভিএম সংগ্রহ প্রকল্পের অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী। সরকার জনগণকে বঞ্চিত করে জালিয়াতির ইভিএমের ওপর নির্ভরশীল হয়েছে। এছাড়া সরকারের আর উপায় নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৮
এমএইচ/এসএইচ