রোববার (০৭ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে গুলশানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বাসায় অনুষ্ঠিত বৈঠক থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে যুক্তফ্রন্ট ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার ৬ জন ও বিএনপির ৩ নেতা অংশ নেন।
বৈঠক শেষে যুক্তফ্রন্টের শরিক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি আ স ম আবদুর রব সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জানিয়ে আ স ম আবদুর রব বলেন, যুক্তফ্রন্ট, ঐক্য প্রক্রিয়া এবং বিএনপির নেতারা একসঙ্গে আলোচনা করেছেন। আমাদের উদ্দেশ্য একটাই, বর্তমান স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে এক মঞ্চে দাঁড়ানো। এখন থেকে আমরা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করবো।
পাঁচ দফা দাবির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, নির্দলীয় সরকারের অধীনের অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হবে, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার আগে সংসদ ভেঙে দিতে হবে, প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিসভা ভেঙে দিতে হবে, ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসহ সেনাবাহিনী মোতায়েন এবং ইভিএম বাতিল করতে হবে।
জামায়াত ইসলামী প্রসঙ্গে রব বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব দলের সঙ্গে ঐক্য হবে। আমাদের ঐক্য হচ্ছে বিএনপির সঙ্গে, আলাদা ভাবে বিএনপির সঙ্গে কারা থাকছে তা আমাদের বিবেচনার বিষয় নয়।
জামায়াত নিয়ে বিকল্প ধারার আপত্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিকল্পধারার মহাসচিব, যুক্তফ্রণ্টের নেতারা বৈঠকে ছিলেন, সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, দাবি আদায়ে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলা হবে এবং গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে সবাই মিলে আন্দোলন করা হবে।
বৈঠকে বিএনপির পক্ষে ছিলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ ও খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
যুক্তফ্রন্ট নেতাদের মধ্যে ছিলেন বিকল্পধারার আবদুল মান্নান, জেএসডির আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার মোস্তফা মহসিন মন্টু, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ও আ ব ম মোস্তাফা আমীন। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লা চৌধুরীও বৈঠকে অংশ নেন।
তবে বৈঠকে ঐক্য প্রক্রিয়ার আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন ও যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন না।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১৮
এমইউএম/এএইচ