সরকারকে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, ‘কর্মসূচিতে বাধা দিলে লড়াই বাঁধবে। স্বৈরাচারী আচরণ করলে পরিণতি ভয়াবহ হবে’।
রোববার (২১ অক্টোবর) রাত ৮টায় রাজধানীর আরামবাগে গণফোরামের কার্যালয়ে ফ্রন্টের বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন আ স ম রব।
আগামী ২৪ অক্টোবর সিলেটে জনসভার আগে ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শীর্ষ নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে মুক্তির আল্টিমেটাম দিয়ে তিনি বলেন, ২৪ অক্টোবর সিলেটের জনসভা থেকে নতুন বার্তা দেওয়া হবে। ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২৬ অক্টোবর হোটেল পূর্বানীতে বিকেল ৩টায় সুশীল সমাজের সঙ্গে বৈঠক করা হবে। ২৭ অক্টোবর চট্টগ্রামে সমাবেশ করা হবে।
জোটের অন্যতম শরিক জেএসডির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কারণে রাজশাহীর জনসভার তারিখ পরিবর্তন করে আগামী ২ নভেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ঐক্যফ্রন্টের এ নেতা বলেন, জাতীয় সাত দফা দাবি সরকারের কাছে লিখিত আকারে উত্থাপন করা হবে। নির্বাচন কমিশনেও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্যাডে দফাগুলো দেওয়া হবে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও অালেম-উলামাসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সঙ্গে পর্যায়ক্রমে মতবিনিময় করা হবে
সিলেটে জনসভার অনুমতি দেওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বর বলেন, ‘সরকার ডিজিটাল আইন করে গণমাধ্যমের গলায় ছুরি দিয়েছে। তারপরেও আপনারা কষ্ট করে যেভাবে আমাদের সংবাদ কাভারেজ দিচ্ছেন, সেজন্য ধন্যবাদ জানাই’।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সহ-সভাপতি তানিয়া রব, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত রায় চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী শহীদুল্লাহ কায়সার ও আ ব ম মোস্তফা আমীন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৮
টিএম/জেডএস