রোববার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি কিন্তু বিজ্ঞ আইনজীবী ড. কামাল হোসেনকে এ ব্যাপারে অনেক শক্তভাবে জবাব দিতে পারতাম, কিন্তু আমার বয়োজ্যেষ্ঠদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার অভ্যাস নাই।
ব্যারিস্টার মইনুলের জামিন নিয়ে ড. কামাল হোসেনের বক্তব্যের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘প্রথম কথা হচ্ছে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলে। আমি বাধ্য হচ্ছি আজকে আইনটাকে পরিষ্কার করে দেওয়ার জন্য। সেটা হচ্ছে এই, যদি অন্য জেলায় মামলা থাকে। তার মানে হচ্ছে মামলাটি অন্য টেরিটরিয়াল জুরিশডিকশনে। সেই জেলা থেকে যদি অন্য জেলায় কোনো আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়, তাহলে যে জেলায় তাকে হাজির করা হয়েছে সেই জেলার বিজ্ঞ বিচারকের কিন্তু তার মামলাটা শোনার অধিকার নাই। ’
‘তার কারণ হচ্ছে, যে তার কাছে মামলার নথিটা নাই। সেই কারণে তিনি দু’টো কাজ করতে পারেন। একটা হচ্ছে- তিনি আসামিকে যেই কোর্টে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে, সেখানে পাঠিয়ে দিতে পারেন অথবা তিনি বলতে পারেন মামলার নথি (ফাইলটা) তার কাছে পাঠানোর জন্য। তার জন্য একটা প্রক্রিয়া আছে। কিন্তু আসামিকে সেই কোর্টে পাঠানোটাই স্বাভাবিক। সেক্ষেত্রে এখানে বিজ্ঞ বিচারক তার বিচারিক অধিক্ষেত্র এবং অভিজ্ঞতা এবং ন্যায় বিচারের স্বার্থে যেই পদক্ষেপ নিয়েছেন সেইটা আইনসঙ্গত পদক্ষেপ বলে আমার কাছে মনে হয়েছে। ’
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, এটাও পরিষ্কার, দেখেন- বিচার বিভাগ কিন্তু স্বাধীন। যে যাই বলুক না কেন বিচার বিভাগ স্বাধীন। আমি প্রসিকিউশনকে আমার নির্দেশনা দিতে পারি। নির্দেশনাটা সব সময়ই আইনানুগ হতে হবে। প্রসিকিউশনের আইনজীবীরা সেই নির্দেশনা অনুযায়ী আইনে যা আছে সে অনুযায়ী কিন্তু কাজ করবে। এক্ষেত্রে তার কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি।
সড়ক পরিবহন আইন নিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, সড়ক পরিবহন আইন যেটা আছে আমার মনে হয় সেটা সড়কে দুর্ঘটনা কমানোর জন্য সহায়ক হবে এবং চালকরা যদি সঠিকভাবে গাড়ি চালায় তাহলে তাদের জন্য সহায়ক হবে।
এসময় চালকদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আইনটা সঠিকভাবে না বুঝেই হয়তো তারা ধর্মঘট করেছেন। আইনে এমন কোনো প্রভিশন নেই যে, তারা অন্যায় না করা সত্বেও তাদের ভোগান্তিতে পড়তে হবে। আমি তাদের আহ্বান জানাব যেন, যেন তারা এ আন্দোলনের পথ পরিহার করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৮
ইএস/আরএ