শুক্রবার (৯ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং জন-প্রত্যাশা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এসব কথা বলেন তারা।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন বলেন, দেশের আপামর জনগণের মধ্যে সরকারের জনপ্রিয়তা বেড়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের আরো জনগণের কাছে যেতে হবে। সরকারের দৃশ্যমান উন্নয়ন প্রকল্প, উন্নয়ন কাজকে তুলে ধরতে হবে। আগামী নির্বাচনে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রাখতে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। তবে দেশের ৩০ শতাংশ জনপ্রিয়তার দল বিএনপিকে জনগণ ভোট দিক বা না দিক আমাদের দেখার নেই। তারাও নির্বাচনে আসতে পারেন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি মশিউর রহমান বলেন, বিএনপি দেশের জনবিচ্ছিন্ন একটা দল। তারা সরকারের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে শেখ হাসিনাকে বার বার হত্যা করতে চেয়েছে। এরপরও গত এক সপ্তাহ ধরে সেই খুনিদের সঙ্গে বসে সংলাপ করেছেন। গণতন্ত্রের উদারতার পরিচয় দিয়েছেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, আমাদের গণতন্ত্রকে ধরে রাখতে আবারও শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে হবে। বাকিরাও নির্বাচনে আসুক এটা আমাদের প্রত্যাশা থাকবে। নিজেদের কারণে আজ বিএনপির মতো বৃহৎ বিরোধী দলের জনপ্রিয়তা ৩০ শতাংশ।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অরুণ কুমার গোস্বামী বলেন, আগামী ২৩ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে আওয়ামী লীগ সরকার ১৭৩টি আসনে আর জোটগতভাবে ২০২টি আসনে জয় পাবে।
তিনি বলেন, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা ব্যাপক হারে বেড়েছে। ওই অঞ্চলে শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা ৮১ দশমিক ৫০ শতাংশ। সেখানে খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তা ১৮ দশমিক ৫০ শতাংশ।
আশা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ডালেম চন্দ্র বর্মণ বলেন, সংলাপ জাতীয় নির্বাচনে একটা ইতিবাচক দিক বয়ে আনবে। সংলাপের পর আর কোনো দলের বা গোষ্ঠীর অভিযোগ থাকার কথা না।
তিনি বলেন, এখন আমাদের তৃনমূলে যেতে হবে। সরকারের সফলতাকে সবার কাছে তুলে ধরতে হবে। সবাইকে বলতে হবে, শেখ হাসিনা সরকারের বিকল্প নেই। উন্নয়নের জন্য, অর্থনীতির জন্য নৌকার ভোট চাইতে হবে।
সংগঠনটির সভাপতি অভি চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যাম অধ্যাপক জিয়া রহমান, অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবুল কালাম আজাদ বীরবিক্রম, রাজনৈতিক বিশ্লেষক রাশেক রহমান, সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. ইসমাইল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু জাফর সূর্য, স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের শিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৮
ইএআর/আরবি/