শুক্রবার (০৯ নভেম্বর) বিকেলে রাজশাহীর মাদ্রাসা মাঠে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আয়োজিত জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা ঐক্য করেছি, খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার আগে মিটিংয়ে বলেছিলেন, আমি হিংসা চাই না, শান্তি চাই।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা সংলাপে দাবি দিয়ে এসেছি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। সংসদ ভেঙে দিতে হবে। দেশনেত্রীকে মুক্তি দিতে হবে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আমরা জানি আপনারা অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। দেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্যেই আপনার এ ত্যাগ। মামলা হামলায় আপনারা জর্জরিত। এখানে একজনও নেই যার বিরুদ্ধে মামলা নেই।
খালেদা জিয়াসহ সব নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে হবে।
তাহলেই নির্বাচনে যাবো উল্লেখ করে তিনি বলেন, নইলে নির্বাচনে যাব না। দেশনেত্রীকে মুক্তি দিয়ে তাকে নির্বাচনের মাঠে কাজ করতে দিতে হবে। অন্যথায় কোনো তফসিল গ্রহণযোগ্য হবে না।
এ রাজশাহী থেকে অনেকে রক্ত দিয়ে বিদায় নিয়েছে তাদের রক্ত বৃথা যেতে দেওয়া যাবে না। আমরা জানি রাস্তায় আপনাদের বাধা দিয়েছে। কিন্তু সব বাধা উপেক্ষা করে দেশনেত্রীর মুক্তির জন্য গণতন্ত্রের জন্য এখানে এসেছেন।
সবশেষে জানতে চাই আপনারা কি দেশনেত্রীর মুক্তি চান? তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনতে চান, গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা চান? তাহলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করতে হবে। আন্দোলন করেই গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হবে।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট রাজশাহীর সমন্বয়ক সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনুর সভাপতিত্বে জনসভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, জেএসডির সভাপতি আসম আব্দুর রব, এলডিপির সভাপতি কর্নেল অলি আহমেদ, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপিতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যর আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, উপদেষ্টা এসএম আকরাম, এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, মো. আমিনুল হক, মো. শাহজাহান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম-মহাসচিব হারুন অর রশীদ হারুন, রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রাজশাহীর সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিন শওকত, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাদিম মোস্তফা, দেবাশীষ রায় মধু, আবু বকর সিদ্দিক, সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৮
এমএইচ/এসএস/এসএইচ