রোববার (১১ নভেম্বর) আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান তিনি। বিকেলে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন পেছানোর ব্যাপারে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বা অন্য দলগুলোর কারো দাবি থাকলে সেটা নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার। নির্বাচন কমিশন যদি সময় সূচি বাড়াতে চান সেটা আমরা আপত্তি করবো না। তবে আমরা কোনো দাবিও করবো না। বাড়ালে আমরা কোনো আপত্তি থাকবে না।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন আমরা মহাজোটগতভাবেও করতে পারি। মহাজোটগতভাবে নির্বাচন করার সম্ভাবনাই বেশি। এখনও মেরুকরণের পালা শেষ হয়নি। এটা শেষ হলে জোটের সমীকরণে যেতে পারি। মহাজোটগতভাবে হলে জাতীয় পার্টি লাঙল নিয়ে নির্বাচন করবে আর ১৪ দল নৌকা নিয়ে নির্বাচন করবে। যুক্তফ্রন্টও আমাদের সঙ্গে একটা অ্যালায়েন্স হতে পারে। তবে তারা কিছু বলেনি, তারা নিজেরে প্রতীকে নির্বাচন করবে ধরে নিচ্ছি।
‘জোটগতভাবে হলে আসন ভাগাভাগি হবে। আমরা তো সব কিছু নিয়ে আলোচনায়ই আছি। রাত ১১/১২টা পর্যন্ত আলোচনায় আছি। সবটাই তো আর আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো যায় না। ’
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের জেতার মতো প্রার্থী মনোনয়ন দিতে হবে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে জিততে হবে। তাদের দুর্বল ভাবার কোনো কারণ নেই। আমরা জেতার জন্য নির্বাচন করবো। নেত্রী অনেকগুলো সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জরিপ চালিয়েছেন। এগুলো দেখেই যোগ্য প্রার্থী যারা জিততে পারবে তাদের মনোনয়ন দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময় ১৯২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৮
এসকে/এএ