বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সংসদীয় বোর্ডের সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়ন চূড়ান্ত করতে সভা করেছে আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ড।
সভায় দেওয়া সূচনা বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, জনগণের প্রতি আহ্বান জানাই- যেকোনো সন্ত্রাস, অগ্নি-সংযোগের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। তারা (জনগণ) যেনো যেকোনো সন্ত্রাসী কার্যকলাপ রুখে দেন।
বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, তারা (বিএনপি) অগ্নি-সংযোগ করলো, সন্ত্রাস করলো আর উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপিয়ে দিলো। দোষ চাপালো ছাত্রলীগের ওপর।
‘আগুন সন্ত্রাস ছাড়া বিএনপি আর কিছু করতে পারে না। নির্বাচন যখন উৎসবমুখর হয় তখন তাদের খারাপ লাগে। ’
সংসদীয় বোর্ডের সভায় প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, নির্বাচনে সব দল আসার ঘোষণায় দেশে যখন একটি উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে, তখনই নয়াপল্টনের ওই ঘটনা ঘটলো। জনগণ যখন উৎসবমুখর হয় তখন তো বিএনপির খুব খারাপ লাগে। সেখানে বিএনপির এক নেতা মিছিল নিয়ে এলো। মিছিল নিয়ে আসার কথা না। তারপর মারপিট অনেক পুলিশ আহত। তিনটা গাড়িও পোড়ালো।
‘২০১৪ সালে নির্বাচনের আগে ও পরে তারা যে অগ্নি-সন্ত্রাস করেছিল, এরপর ২০১৫ সালে অগ্নি-সন্ত্রাস করেছে, আবার ঠিক সেই অগ্নি-সন্ত্রাস শুরু করলো। অগ্নি-সন্ত্রাস ছাড়া, মানুষকে আগুন দিয়ে পোড়ানো ছাড়া বিএনপি কোনো কাজ করতে পারে না-এটাই তার প্রমাণ। ’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, এ ধরনের কাজ করার পর একজনের দোষ আরেকজনের ঘাড়ে দেওয়া হলো। এ বিষয়ে তারা পারদর্শী। যেখানে ভিডিও ফুটেজে দেখা গেলো- কারা এ কাজ করেছে! তারা বলে দিলো- ছাত্রলীগের ছেলেরা এ কাজ করেছে।
‘ছাত্রলীগ গেলো কখন, ছাত্রলীগ সেখানে যাবে কেন? ভিডিও ফুটেজও তো সবার চেহারা দেখা যাচ্ছে একটাও কী ছাত্রলীগ-যুবলীগের কারো চেহারা আছে? সবই তো বিএনপির গুণ্ডাদের চেহারা। সবই তো বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা, তাদের চেহারা তো দেখা গেছে। যখন দেশের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে একটি উৎসবমুখর পরিবেশ তখন এই ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ দুঃখজনক। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। ’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাবো, তারা যেনো তাদের ভোটের অধিকার, তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার, তাদের সাংবিধানিক অধিকার-কে রক্ষা করেন। এই অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা তাদের পাশে আছি এবং থাকবো।
দলীয় সূত্র বলছে, আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মনোনয়ন চূড়ান্ত করতেই এ সভায় বসেছে দলটির সংসদীয় বোর্ড।
বৃহস্পতিবার থেকে এ প্রক্রিয়া শুরু করা হলো। এরপর ধারাবাহিকভাবে অনুষ্ঠিত হবে সংসদীয় বোর্ডের আরও সভা। এসব সভায় পর্যায়ক্রমে আলোচনা করে প্রার্থীদের মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হবে।
এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ‘নৌকা প্রতীকে’ ভোটে দাঁড়াতে দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছেন ৪ হাজার ২৩ জন প্রার্থী।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৮/আপডেট: ২০০১ ঘণ্টা
এসকে/এমএ