তিনি বলেন, নির্বাচন বানচাল করতে স্বাধীনতার অপশক্তিগুলো ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। সম্প্রতি তারা এর প্রমাণও দিয়েছে পুলিশের গাড়িতে আগুন দিয়ে।
শুক্রবার (১৬ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) সভাকক্ষে গার্মেন্টস শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি ও করণীয় র্শীষক প্রতিনিধি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় গার্মেন্ট শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল আনাম, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম, সদস্য সচিব বদরুদ্দোজা নিজাম, শ্রমিক নেতা ওসমান, আমিনুল ইসলাম, বাবুল হাসান, শারমিন শিরিন, জাহানারা, আমু সিকদারসহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। গার্মেন্টস শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ এ সভায় আয়োজন করে।
শাজাহান খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রমিকদের সন্তানের মতো দেখেন। এজন্য তিনি যখন ক্ষতায় এসেছেন তখন শ্রমিকদের বেতন ভাতা বৃদ্ধি করেছেন। এ পর্যন্ত শেখ হাসিনা সরকার তিন বার বেতন বৃদ্ধি করেছে, যা বাংলাদেশে নজির বিহীন। অথচ বিএনপি সরকারের আমলে বেতন বৃদ্ধির জন্য শ্রমিকরা আন্দোলন করলে তাদের গুলি করে ১৭ জনকে হত্যাকরা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারে আমলে আন্দোলন হয়েছে। সেখানে গুলি চলেনি তাদের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান করা হয়েছে। কারণ তিনি শ্রমিকদের জন্য বেদনা অনুভব করতেন। এ জন্যই গার্মেন্টস মালিকদের বলতে পেরেছেন আপনারা একদিন সিগারেট না খেয়ে শ্রমিকদের বেতন বাড়িয়ে দেন।
এ শ্রমিক নেতা বলেন, শ্রমিকরা আন্দোলন করে রুটি-রুজির জন্য। তারা রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য কোনো আন্দোলন করে না। এজন্য সব শ্রেণীর শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে এক প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। যাতে কোনো ষড়যন্ত্র আগামী নির্বাচনকে বানচাল করতে না পারে।
সভায় শ্রমিক নেতারা বলেন, দেশে তিন বার শ্রমিকদের বেতন বাড়লেও লাভ হয়নি। কারণ বেতনের পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ সব কিছুর দাম বেড়েছে। ফলে বেতন পায় ৮ হাজার, খরচ হয় সাড়ে ৯ হাজার টাকা। এজন্য শ্রমিকরা বাসস্থানসহ রেশনিং ব্যবস্থা চালুসহ আগামী সংসদে শ্রমিকদের পক্ষে একজন সংসদ সদস্য রাখার দাবিও জানান। আর তাদের এ দাবি বাস্তবায়নের জন্য আগামী নির্বাচনে শ্রমিকবান্ধব শেখ হাসিনা সরকারকে জয়ী করতে সব ধরনের সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৮
জিসিজি/এসএইচ