ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

নির্বাচন নিয়ে হুমকি-ধমকি দিলে জনমনে সন্দেহের সৃষ্টি হবে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৮
নির্বাচন নিয়ে হুমকি-ধমকি দিলে জনমনে সন্দেহের সৃষ্টি হবে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন যুক্তফ্রন্ট ও বিকল্পধারা চেয়ারম্যান ডা. বি চৌধুরী। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: আসন্ন নির্বাচন নিয়ে হুমকি-ধমকি দিলে জনমনে সন্দেহ সৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছেন বিকল্পধারা বাংলাদেশ ও যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। 

তিনি বলেছেন, জনগণ নির্বাচনী মেজাজে রয়েছে, নির্বাচনকে ঘিরে কোনো ষড়যন্ত্র, হুমকি-ধমকি দিলে নির্বাচন নিয়ে জনমনে সন্দেহের সৃষ্টি হবে। বিরোধী দলকেও এ কথা বুঝতে হবে।

বুধবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর মধ্য বাড্ডায় বিকল্পধারার নির্বাচনী কার্যালয়ে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার শেষে সাংবাদিকেদের বি চৌধুরী এসব কথা বলেন।

বিরোধী দলের প্রতি উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, নির্বাচন ঠেকিয়ে দেওয়া হবে, ভোটে বাধা দেওয়া হবে- এমন কোনো আভাস দেওয়া হলে ইতিহাস তাদের ক্ষমা করবে না। সেটা হবে ইতিহাসের নির্মম অধ্যায়।

‘ভারসাম্য রাজনীতি প্রতিষ্ঠায় আমাদের যদি আপোষ করতে হয়, সে পরিস্থিতি আনা উচিত হয় তাহলে যে দলটি সরকার গঠন করবে সে দলের শরিকদের অধিক সংখ্যক আসন দিয়ে ব্যালেন্স করতে হবে। ’

মহাজোটের কাছে কয়টি আসন চান- এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নেব উত্তরে বি চৌধুরী বলেন, এই মুহূর্তে এটা বলবো না। আমরা রাজনীতিতে সংশোধন আনতে চাই। ভারসাম্যের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে চাই। কোনো দল একক সিদ্ধান্তে যেন স্বেচ্ছাচারিতা করতে না পারে বিকল্পধারা সেই ধারার রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করবে।  

মহাজোটে প্রসঙ্গে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে সাবেক রাষ্ট্রপতি বি চৌধুরী বলেন, এ বিষয়ে আলোচনা চলছে। আমাদের জোটেও ভালো ভালো প্রার্থী রয়েছেন। আমরা আলোচনায় তাদের সেসব কথা জানিয়েছি।  

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঐতিহাসিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ইট ক্যান বি অ্যা হিস্টোরিক ইলেকশন। এর উল্টো হলে ডিজাস্টার হবে।  

সাংবাদিকদের বি চৌধুরী বলেন, কয়েকদিনের মধ্যেই নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করা হবে। নতুন ভোটারের সংখ্যা অনেক বেশি। তারা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে- সে ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ নির্বাচন কমিশন এখন শতভাগ স্বাধীন।

ব্রিফিংয়ে বিকল্পধারার প্রেসিডিয়াম সদস্য শমসের মবিন চৌধুরী,  প্রেসিডিয়াম সদস্য ও যুক্তফ্রন্টের প্রধান সমন্বয়ক গোলাম সারোয়ার মিলন, প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রউফ মান্নান, ইঞ্জিনিয়ার মুহম্মদ ইউসুফ, এইচ এম গোলাম রেজা,  মযহারুল হক শাহ চৌধুরী, অধ্যাপক আনোয়ারা বেগম, বিএলডিপির চেয়ারম্যান নাজিমউদ্দিন আল আজাদ. জাতীয় জনতা পার্টির চেয়ারম্যান শেখ মো. আসাদ, গণসংস্কৃতি দলের সভাপতি এসআই মামুন, বিকল্পধারার সহ-সভাপতি মাহবুব আলী, শিপ্রা রহিম, সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার ওমর ফারুক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৮
এমএইচ/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।