ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

নির্দেশনা মানছে না কেউই, চলছে আগাম প্রচারণা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৮
নির্দেশনা মানছে না কেউই, চলছে আগাম প্রচারণা দেয়ালে অাওয়ামী লীগ ও বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের পোস্টার। ছবি: বাংলানিউজ

রাজশাহী: নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মানছেন না রাজশাহীর সম্ভাব্য প্রার্থীরা। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্যানার, ফেস্টুন, বিলবোর্ড ও পোস্টার অপসারণ না করে আচরণবিধি লঙ্ঘন করেই চলেছেন। অথচ নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সব নির্বাচনী ব্যানার, ফেস্টুন, বিলবোর্ড সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তা না হলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ গত ১৬ নভেম্বর এ নির্দেশনা দিয়ে বলেন, ১৮ নভেম্বরের (রোববার) মধ্যে নির্বাচনী ব্যানার-পোস্টার অপসারণ করা না হলে ১৯ নভেম্বর থেকে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেওয়া সেই দ্বিতীয় দফার সময়ও রোববার রাত ১২টায় শেষ হয়ে গেছে।

কিন্তু এখনও প্রচার থামেনি।

বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) রাজশাহী সদর এলাকাসহ আশাপাশের উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে নির্বাচনে অংশ নিতে ইচ্ছুক প্রার্থী ছাড়াও রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের পোস্টারও আগের মতোই রয়েছে। নির্বাচন কেন্দ্রিক এসব পোস্টার অপসারণের কঠোর নির্দেশ দেওয়া হলেও এর কোনো অগ্রগতি হয়নি।

রাজশাহী মহানগরের চারপাশ ঘিরে অবস্থিত পবা ও মোহনপুর নিয়ে রাজশাহী-৩ আসন। এ আসনের দুয়ারী, বাগধানী, দারুশা ও হরিয়ানের বিভিন্ন এলাকায় ঝুলছে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের ব্যানার- ফেস্টুন ও পোস্টার। শুধু এ এলাকাতেই নয়, মোহনপুরের বিভিন্ন এলাকাতেও ঝুলছে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টার। অনেক জায়গায় বড় বড় প্রতীকও ঝুলতে দেখা গেছে।

তবে মূল সড়ক ও বাজারগুলোতে কম দেখা গেলেও অপেক্ষাকৃত ছোট বাজার ও শহরের অলি-গলিতে বেশি পোস্টার ঝুলতে দেখা গেছে। ঝুলতে দেখা গেছে দলীয় প্রতীকও। তবে রাজশাহী-২ ও রাজশাহী-৩ আসনেই বেশি দেখা গেছে। এ আসনগুলোতে মূল বাজারগুলোতেই পোস্টার ঝুলছে।

পবার বিভিন্ন জায়গায় মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে বর্তমান সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, সাবেক সাংসদ মেরাজ উদ্দিন মোল্লা, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মর্জিনা পারভীন, পবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ইয়াসিন আলী, সাধারণ সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান মানজাল এবং বিএনপির নগর সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলনের পোস্টার ও ব্যানার ঝুলছে। এছাড়া গোদাগাড়ীর রাজাবাড়ী, কামার পাড়া, কাঁকনহাট, বালিয়াঘাটা, দি-গ্রাম ও প্রেমতলী এলাকায় বিভিন্ন দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টার ঝুলতে দেখা গেছে।

এদিকে, রাজশাহীতে পোস্টার অপসারণের কাজটি সমন্বয় করছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিসান বিন মাজেদ। তিনি বলেন, সব জায়গা থেকেই দৃশ্যমান বড় ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন ও দলীয় প্রতীক অপসারণ করা হচ্ছে। আজও দু’টি টিম বের হচ্ছে। কোথাও দৃশ্যমান বড় ধরনের প্রতীক, ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টার নেই। ভেতরে কোথাও থাকলে সেগুলো অপসারণ করবে। এ কাজে সিটি করপোরেশনেরও সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৮
এসএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।