ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সিইসিই সুষ্ঠু নির্বাচন চান না: রিজভী

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৮
সিইসিই সুষ্ঠু নির্বাচন চান না: রিজভী

ঢাকা: পুলিশ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশ মতোই কাজ করছে বলে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) মন্তব্যের জবাবে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, সিইসি স্বীকার করে নিলেন যে, সারাদেশে যতো হামলা, মামলা, গায়েবি মামলা, গ্রেফতারসহ সবকিছু হচ্ছে সিইসির নির্দেশে। তার বক্তব্যে পরিষ্কার হলো তিনি সুষ্ঠু নির্বাচন চান না। যে করেই হোক আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় বসাতে হবে-এটাই কমিশনের মনোবাসনা।

রোববার (২৫ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা বলেন তিনি।  
 
রিজভী বলেন, ‘নির্বাচনে সেনাবাহিনী পুলিশের সমন্বয়ের মধ্যে থাকবে, এমন সিদ্ধান্ত নজিরবিহীন ও দুরভিসন্ধিমূলক।

সিইসি বলেছেন যে, আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে মাঠে নামবে। সেনাবাহিনী একটি সুপিরিয়র বাহিনী হিসেবে পুলিশের কমান্ডে কী করে কাজ করবে? সেনাবাহিনীকে আর কতো ছোট করা হবে?’

তিনি বলেন, সংসদ নির্বাচনে প্রিজাইডিং কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়া ভোটকেন্দ্রের ভেতরে না ঢুকতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা। ‌একতরফা নির্বাচন করতে, দেশে একনায়কতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠা করতেই তিনি সিইসি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করার জন্য নয়। সিইসির বক্তব্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও বেপরোয়া করে তুলবে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা ভোটকেন্দ্রের ভেতরে যেতে পারবেন না, সাংবাদিকরা ভোটকেন্দ্রে যেতে পারবেন না, পর্যবেক্ষকদের মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে থেকে ভোট পর্যবেক্ষণ করতে হবে, তাহলে কি শুধুমাত্র আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনী আর আওয়ামী চেতনায় সাজানো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মিলে নির্বাচন করবে? ভোট ডাকাতির সুযোগ করে দিতেই যাবতীয় আয়োজন করা হচ্ছে বলে জনগণ বিশ্বাস করে।

তিনি বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। বর্তমান ডিজি সামীম মো. আফজাল দীর্ঘ ১০ (দশ) বছর ওই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। প্রশাসনিক কাজে অমনোযোগী হলেও দলীয়করণ ও দুর্নীতিতে সর্বশ্রেষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন। বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অশ্রাব্য ভাষায় কথা বলেন এই মহাপরিচালক। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে দেশে ওয়াজ মাহফিল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। অথচ ইসলামী ফাউন্ডেশনের অধীনস্ত ‘মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পে’ লক্ষাধিক কর্মকর্তা, কর্মচারী, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কেয়ারটেকার কর্মরত রয়েছে। অন্যান্য প্রকল্প ও রাজস্ব খাতসহ প্রায় দেড় লাখ জনশক্তিকে দলীয়করণের কাজে ব্যবহার হতে বাধ্য করছেন এই ডিজি। ৪৫ দিনব্যাপী ৬৪ জেলায় নির্বাচনী প্রচারণার কাজ বাস্তবায়নের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

রিজভীর অভিযোগ, শিক্ষক প্রশিক্ষণ ও দাওয়াতি মাহফিলের নাম করে প্রতি উপজেলায় জনসভার আয়োজন করে নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছেন ডিজি। এতে প্রায় ২ (দুই) কোটি সরকারি টাকার তছরুপ হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের আদেশের তোয়াক্কা না করে কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে।  

জরুরি ভিত্তিতে নির্বাচনী জনসভা (দাওয়াতি মাহফিল) বন্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণসহ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিজি সামীম মো. আফজালকে অপসারণ করার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি জোর দাবি জানান রিজভী।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৮
এমএইচ/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।