ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সেনা জেলায় বসে থাকবে না, মুভ করবে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৮
সেনা জেলায় বসে থাকবে না, মুভ করবে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন বীর বিক্রম-ছবি-বাংলানিউজ

ঢাকা: আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী শুধু জেলা সদরে বসে থাকবে না, কোনো সহিংসতা হলে সেখানে নিজ উদ্যোগে গিয়ে তা প্রতিহত করবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন বীর বিক্রম। রোববার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে প্রায় ঘণ্টাখানেক সিইসির সঙ্গে তিনি আলোচনা করেন।


 
ইতোমধ্যে সিইসি গণমাধ্যমে বলেছেন, ১৫ ডিসেম্বরের পর থেকে জেলায় সেনাবাহিনীর ছোট টিম মোতায়েন থাকবে।
 
হাফিজ উদ্দিন বলেন, আমি সিইসিকে বলেছি, নির্বাচনে সেনাবাহিনী জেলা সদরে চুপ করে বসে থাকবে, নাকি তারা ফ্রিলি মুভ করবে। একটি এলাকায় ভোটকেন্দ্রের এক মাইল দূরে ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে বাধা দেওয়া হলে তখন ভূমিকা কী হবে। জবাবে সিইসি আশ্বস্ত করেছেন, সেনাবাহিনী নির্বাচনী এলাকায় মুভ করবে। তারা জেলা সদরে চুপ করে বসে থাকবে না। যেখানেই সন্ত্রাস হবে, দে উইল রান ফর দ্যাট।
 
সিইসি আরও বলেছেন, নির্বাচনী এলাকায় কোনো ধরনের সহিংস ঘটনা হলেই সেনাবাহিনী তা প্রতিহত করবে। সেনাবাহিনী নিজ উদ্যোগে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রতিহত করবে। তারা বসে থাকবে না।  
 
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপির মহাসচিবের নির্দেশে আমি সিইসির সঙ্গে সাক্ষাত করেছি। সারাদেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা হচ্ছে। তারা এলাকা ছাড়া। আমি নিজে ছয় বার নির্বাচনে জয়ী হয়েছি। এখন এলাকায় যেতে পারছি না। আমার মতো অনেক নেতা এলাকার বাইরে আছেন। আমার নির্বাচনী এলাকা ভোলা-৩। এই আসনে তফসিল ঘোষণার পর হয়রানিমূলক যেসব মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে, তা সিইসিকে জানিয়েছি। তিনি বলেছেন, পুলিশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন। এছাড়া সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ প্রশাসনকেও তিনি এ বিষয়ে নির্দেশ দেবেন। সিইসি আমাকে আশ্বস্ত করেছেন, নির্বাচনে কোনো সহিংসতা বরদাশত করবেন না।
 
ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রসঙ্গে হাফিজ উদ্দিন বলেন, সারাবিশ্বে ইভিএম একটি বিতর্কিত ভোটিং মেশিন। জার্মানি এটা বাদ দিয়েছে। পার্শ্ববর্তী ভারতের কয়েকটি রাজ্যে কেবল এই মেশিন চালু আছে। উন্নত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এই ভোটযন্ত্র ব্যবহার হচ্ছে না। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অধিকাংশ দেশেই এটা নেই। আশা করছি, আগামী নির্বাচনে এই মেশিন ব্যবহার না করার বিষয়ে আমাদের দাবি পুনর্বিবেচনা করবে নির্বাচন কমিশন।
 
আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৮ নভেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৯ ডিসেম্বর। আর প্রতীক বরাদ্দ ১০ ডিসেম্বর।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৮
ইইউডি/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।