বৃহস্পতিবার (২৯ নভেম্বর) রাজধানীর হোটেল সুন্দরবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২১ বছর পূর্তি উপলক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
তিনি বলেন, সরকার থেকে দাবি করা হচ্ছে চুক্তির ৮০ শতাংশ বাস্তবায়িত হয়েছে। তবে প্রকৃতপক্ষে বাস্তবতা হচ্ছে ৭২টি ধারার মধ্যে মাত্র ২৫টি ধারা বাস্তবায়িত হয়েছে। চুক্তির মৌলিক বিষয়সমূহ দুই তৃতীয়াংশ ধারা এখনো অবাস্তবায়িত অবস্থায় রয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে সন্তু লারমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়ায় জাতীয় নির্বাচনে এর প্রভাব পড়তে পারে। তবে কি ধরনের প্রভাব পড়বে তা আমি বলতে পারছি না।
তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্ম জনগণের ওপর দমন-পীড়ন, ফ্যাসিবাদী শাসন ও নাজুক পরিস্থিতে সারাদেশের সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রামেও একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ ধরনের পরিস্থিতি পার্বত্য চট্টগ্রামের সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচনের জন্য কখনোই অনুকূল নয়।
তিনি আরো বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের নামে পরিচালিত প্রত্যেকটি অভিযানে কার্যরত পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে আন্দোলনরত নেতা-কর্মী ও ব্যক্তিদের ওপর দমন-পীড়ন চালানো হয়েছে। চেকপোস্টে নিরীহ মানুষদের হয়রানি করা হচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে সেনাবাহিনী ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর এ ধরনের তৎপরতা অচিরেই বন্ধ করা জরুরি।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মেসবাহ কামাল, ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্জ, আদিবাসী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৮
টিআর/এসএইচ