ফেনীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মহিলা শাখার এক উঠান বৈঠকে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ফেনী সদর উপজেলার ফাজিলপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উঠান বৈঠকে হামলার ঘটনায় ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব গিয়াস উদ্দিন ও সভাপতি মীর সবুজকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আটক করেছেন।
এ ঘটনায় জামায়াতের ইউনিয়ন আমির মাওলানা আবুল বশরসহ অন্তত ২০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে তিনজনকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, বাকিরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ফেনী জেলা জামায়াতের প্রচার সম্পাদক আ.ন.ম. আবদুর রহিম। তিনি আরও জানান, হামলার ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
স্থানীয়রা জানান, যুবদল নেতা কামরুল ইসলাম ভূঁইয়া ঘটনার আগে নিজের ফেসবুক লাইভে এসে জামায়াতের নারী সমর্থকদের কুরআন তালীম প্রোগ্রাম প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফেনী মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ শামসুজ্জামান বলেন, দুই দলের মধ্যে ঝামেলা ও পরবর্তীতে সমঝোতার বিষয়টি শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে আটকের বিষয়ে আমি অবগত নই।
অন্যদিকে, ফেনী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল বলেন, এই ঘটনায় বিএনপিরও ১৫ জন আহত হয়েছে। বিকেলে সমঝোতা বৈঠক হয়েছে, সেখানে বিষয়টি মিটমাট হয়। পরে জামায়াত নেতারা ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে। আমরাও আগামীকাল মামলা করব।
এসএইচডি