এই আসনে বিএনপির বিকল্প প্রার্থী হিসেবে চিঠি পাওয়া চিত্রনায়ক ও জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সাধারণ সম্পাদক হেলাল খান বলেছেন, ‘ডাল মে কুচ কালা হ্যায়’।
রোববার (৯ ডিসেম্বর) সিলেটের একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করেন হেলাল খান ও আরেক মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিক নেজামে ইসলাম পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রকিব।
মাওলানা আব্দুর রকিব বলেন, আমার কাছে বিএনপির মনোনয়ন বাণিজ্য নিয়ে তথ্য আছে, অবশ্য তা খতিয়ে দেখতে হবে।
হেলাল খান বলেন, জোটের প্রার্থী মাওলানা রকিবকে না করায় বুঝেছি- ডাল মে কুচ কালা হ্যায়।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ থেকে যেখানে সাংস্কৃতিক কর্মীদের মূল্যায়ন করা হচ্ছে, যেখানে বিএনপির বেলায় পার্সেন্ট জিরো। মহাজোট ডজনখানেক সাংস্কৃতিক কর্মী ও খেলোয়াড়কে মনোনয়ন দিয়ে চমক দেখিয়েছে। সেখানে বিএনপিতে তুলনামূলক জিরো।
এ আসনে ধানের শীষের চূড়ান্ত প্রার্থিতা পাওয়া সিলেট জেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক ও প্রবাসী ব্যবসায়ী ফয়সল আহমদ চৌধুরী সম্পর্কে হেলাল খান বলেন, ফয়সল আহমদের কোনো সম্পর্ক নেই এলাকার সঙ্গে। আচমকা এসে মনোনয়ন নিয়ে গেলেন। প্রার্থী মনোনয়নে এলাকার মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি।
জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, ধানের শীষের চূড়ান্ত প্রার্থী নির্ধারণে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে ভুল বোঝানো হয়েছে। এ আসনে ফয়সল আহমদ চৌধুরী ছাড়া আর কাউকে প্রার্থী দিলে আপত্তি থাকতো না। এরপরও দল ও দেশ সবার কাছে বড়। তবে শেষ পর্যন্ত প্রার্থী নয়, ধানের শীষের পক্ষেই লড়ে যাবো আমরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৮
এনইউ/এইচএ/