ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

মুক্তিযুদ্ধের শক্তিকে বিজয়ী করতে ‘বিজয় মঞ্চ’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৮
মুক্তিযুদ্ধের শক্তিকে বিজয়ী করতে ‘বিজয় মঞ্চ’ বিজয় মঞ্চে বক্তব্য রাখছেন মোহাম্মদ নাসিম/ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে বিজয়ী করতে সারা দেশে বিজয় মঞ্চ করেছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দল। এই বিজয় মঞ্চ থেকে আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের প্রার্থীদের নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার আহ্বান জানানো হবে।

রোববার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবসে বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ বিজয় মঞ্চের উদ্বোধন করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

তিনি বলেন, বিজয়ের মাস ডিসেম্বর।

এই মাসে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির আওয়ামী লীগ ও ১৪ দল পরাজিত হতে পারে না। আগামী ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে এদেশের মানুষ নৌকায় ভোট দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে আবারও বিজয়ী করবে।  

১৪ দলের উদ্যোগে এ বিজয় মঞ্চের সহযোগিতায় রয়েছে সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। সারা দেশে উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত এ বিজয় মঞ্চ তৈরি করা হবে। এ মঞ্চের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান।  

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, মুক্তিযোদ্ধা ছাত্র, যুব, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সমবেত হন। প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এ বিজয় মঞ্চে আলোচনা সভা, নাটক, আবৃত্তি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক অনুষ্ঠান উপস্থাপন করা হবে। চলবে আগামী ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তবে এ বিজয় মঞ্চের অনুষ্ঠান ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত করা হতে পারে বলেও আয়োজকরা জানান।  

বিজয় মঞ্চের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মোহাম্মদ নাসিম আরও বলেন, ’৭১ সালে রাজাকার, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীরা ছিল, এখনও আছে। এবার নতুন করে মীরজাফরের জন্ম হয়েছে। ড. কামাল হোসেন, কাদের সিদ্দিকীরা রাজাকারদের পক্ষে সাপাই গায়। স্বাধীনতাবিরোধীদের নিয়ে প্রশ্ন করলে সাংবাদিকদের কামাল হোসেন ধমক দেন। আগামী ৩০ ডিসেম্বর নৌকায় ভোট দিয়ে এই ধমকের জবাব দিতে হবে।  

নাসিম বলেন, আমাদের ছোটখাটো ভুল-ত্রুটি থাকতে পারে। কিন্তু আপনারা বড় ভুল করবেন না। স্বাধীনতাবিরোধীদের হাতে দেশ তুলে দেবেন না। আমরা বলেছিলাম সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে, সেটাই হচ্ছে। সেমিফাইনালে আমাদের বিজয় হয়েছে। ৩০ ডিসেম্বর ফাইনালে চূড়ান্ত বিজয় হবে। বিএনপি ঐক্যফ্রন্টের প্রতি আহ্বান আপনারা নির্বাচন থেকে সরে যাবেন না।  

নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, আমাদের দু’টি চ্যালেঞ্জ। একটি মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, রাজাকার, যুদ্ধাপরাধী ও তাদের দোষরদের নির্মূল করতে নৌকায় ভোট নিয়ে আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলকে জয়যুক্ত করা। আরেকটি দেশে যে উন্নয়ন হয়েছে এবং হচ্ছে এই উন্ননের ধারা অব্যাহত রাখা। ড. কামাল হোসেন ঐক্যফ্রন্ট করে রাজাকারদের পক্ষ নিয়েছেন।  

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) হেলাল মোর্শেদ, সম্মিলিতি সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দীলিপ বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদস্য সচিব ওসমান আলী প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৮ 
এসকে/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।