এছাড়াও ওই প্রার্থীর সমর্থকদের বাড়ি গিয়েও পুলিশ হামলা করছে বলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা বরাবর অভিযোগ করেছেন প্রার্থী নিজেই। হামলার অভিযোগে কলারোয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মারুফ আহম্মেদকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
নির্বাচন ভবনে গিয়ে হাবিবুল ইসলাম হাবিব বৃহস্পতিবার (২০ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা বরাবর এ অভিযোগ করেন।
লিখিত অভিযোগে হাবিবুল ইসলাম হাবিব বলেন, গত ১৯ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১২টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত আমার কলারোয়ার নিজ বাড়ি এবং কলারোয়ার পৌর মেয়র গাজী মো. আক্তারুল ইসলাম, ৩নং কয়লা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুর রকিব মোল্ল্যা, ৫নং কেড়াগাছি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাতক্ষীরা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আশরাফ হোসেন, সাবেক কাউন্সিলর ও উপজেলা যুবদলের সভাপতি শেখ আব্দুল কাদের বাচ্চু, পৌর বিএনপির সভাপতি শেখ কামরুল হোসেন, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শরিফুজ্জামান তুহিন, উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এম এ হাকিম সবুজ, সাবেক কাউন্সিলর মো. মফিজুল ইসলাম মফিসহ আরও ৮/১০ জনের বাড়িতে যেয়ে সারারাত কলারোয়া থানা পুলিশ ও সরকারি দলের ক্যাডাররা একত্রিত হয়ে ঘরের দরজা-জানালা ও অনেক বাড়ির আসবাবপত্র ভাঙচুর করে।
অভিযোগে তিনি আরো বলেন, বিএনপি নেতাদের নাম ধরে বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের হুমকি দিয়ে বলে, ‘ভোটের আগে বাড়ি আসলে হত্যা করা হবে। ’ এছাড়াও কোনো মামলা বা ওয়ারেন্ট না থাকা সত্ত্বেও আমার নেতা-কর্মীদের বাড়িতে রাতের আঁধারে গিয়ে হামলা ভাঙচুর ও হত্যার হুমকি দিচ্ছে কলারোয়া থানার পুলিশ প্রশাসন ও সরকারি দলের ক্যাডাররা। যাতে করে কেউ ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে না যায়। এছাড়াও কলারোয়া থানার পুলিশ প্রশাসন প্রতি রাতে কলারোয়া থানার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে ৩০/৪০জনকে গ্রেফতার করছে। যাদের বিরুদ্দে কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নেই। তাদের অজ্ঞাত মামলায় আদালতে প্রেরণ করা হচ্ছে।
লিখিত অভিযোগে আরো বলা হয়, আমি (প্রার্থী) গত ১৪ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় আমার কলারোয়ার নিজ বাসভবনে দলীয় কর্মীদের নিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী মতবিনিময় করার সময় কলারোয়া থানা থেকে মাত্র ১০০ গজ উত্তরে অবস্থিত হাইস্কুল মার্কেটে পৌঁছালে পুলিশের সামনেই নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট মোস্তাফা লুৎফুল্লা ও কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মদ স্বপনের নির্দেশে ২০/৩০ জন আওয়ামী সন্ত্রাসী পিছন দিকে থেকে আমার নেতা কর্মীদের ওপর হামলা করে।
অভিযোগে আরো বলা হয়, এমন তাণ্ডবের পরও কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মারুফ আহম্মেদ কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করে বরং তাদের উৎসাহিত করে নিজেকে তাদের দলীয় কর্মী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। যে কারণে তার কাছে অভিযোগ দিয়ে কোনো লাভ হবে না বুঝেই আমারা কোন অভিযোগপত্র দাখিল করি নাই। উল্টো প্রার্থী হিসাবে আমি যাতে কোনো প্রকার প্রচারণায় নামতে না পারি সেই উদ্দেশ্যে আমিসহ আমার ৪৬ জন নেতা-কর্মীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে আমার নির্বাচনী কর্মকাণ্ড থেকে দূরে রেখে সরকারি দলের প্রার্থীকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করেছেন। যে কারণে এই পুলিশ কর্মকর্তাকে এই থানায় বহাল রেখে কোনো নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়।
সিইসি বরাবর লেখা ওই চিঠিতে আরো বলা হয়, উপরে বর্ণিত ঘটনার দ্রুত এবং সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মারুফ আহম্মেদকে অনিতিবিলম্বে প্রত্যাহার করে নিরপেক্ষ নির্বাচনে আপনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৮
ইইউডি/এমজেএফ