ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

হামলা-মামলায় প্রার্থীরা প্রচারণা চালাতে পারছেন না: সুজন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৮
হামলা-মামলায় প্রার্থীরা প্রচারণা চালাতে পারছেন না: সুজন সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। ছবি: শাকিল

ঢাকা: নির্বাচনের প্রচারণায় হামলা, মামলা, বাধা ও হয়রানির কারণে এখনও অনেক প্রার্থী নির্বিঘ্নে প্রচারণা চালাতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। সংস্থাটি জানায়, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পূর্বশর্ত হিসেবে সুস্থ প্রতিযোগিতার জন্য যে অনুকূল পরিবেশ প্রয়োজন তা এখনও সৃষ্টি হয়নি। 

সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের তথ্য উপস্থাপন শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করে সুজন।

সংবাদ সম্মেলনে সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচনের জন্য আমরা সংলাপের আহ্বান জানিয়ে আসছিলাম।

দেরিতে হলেও সংলাপ হয়, তবে সমঝোতা হয়নি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হচ্ছে বলেই আমাদের ধারণা। কিন্তু প্রচারণায় হামলা, বাধা ও হয়রানির কারণে এখনও অনেক প্রার্থী নির্বিঘ্নে প্রচারণা চালাতে পারছেন না।

তিনি বলেন, বাধা দেওয়ার কারণে কেউ কেউ এখনও প্রচারণায় নামতে পারেননি। ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ থাকলেও সহিংসতার কারণে অবাধে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন কি না শঙ্কা ও সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি না হলে ভোটাররা স্বতস্ফুর্তভাবে ভোটকেন্দ্রে যাবেন কি না সন্দেহ রয়েছে। ভোটাররা যদি অবাধে ভোটকেন্দ্রে যদি না যেতে পারেন তাহলে সে নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বলা যাবে না। সে নির্বাচনকে নিরপেক্ষ নির্বাচন বলা যাবে না।

বদিউল আলম বলেন, এবারের নির্বাচনে ১ হাজার ৮৭১ জন প্রার্থী চূড়ান্তভাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয়েছেন। এর মধ্যে মোট ৬৬ জন নারী প্রার্থী ৬৭টি নির্বাচনী এলাকায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৬৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক। এসব প্রার্থীর মধ্যে স্বল্প শিক্ষিত বা এসএসসির কম শতকরা ২২ দশমিক ৮৫ শতাংশ (৪২১ জন)। মাধ্যমিক গণ্ডি না পেরানো প্রার্থীর হার ১৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ (২৬৬ জন)। প্রার্থীদের মধ্য ব্যবসায়ী রয়েছেন ৫২ দশমিক ১৭ শতাংশ বা ৯৬১ জন। আইন পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন মাত্র ৮ শতাংশ বা ৫৬ জন।

এসব প্রার্থীদের মধ্যে মামলা আছে ১৬ দশমিক ৯৯ শতাংশ বা ৩১৩ জন, অতীতে মামলা ছিলো ২২ দশমিক ৯১ শতাংশ বা ৪২২ জনের বিরুদ্ধে। ৩০২ ধারায় মামলা আছে ৫৮ জনের বিরুদ্ধে, অতীতে ছিলো ১২১ জনের। উভয় সময়ে ছিলো ১২ জনের বিরুদ্ধে। কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে ১৩৬ জন প্রার্থীর। বছরে ৫০ লাখের বেশি আয় করেন ২২৩ জন। ৫ লাখ টাকা বা তার চেয়ে কম আয় ৯৫১ জনের।

সংবাদ সম্মেলনে সুজনের প্রধান সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৮ 
ইএআর/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।