বহিষ্কৃতরা হলেন-উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আপ্তাব আলী কালা মিয়া ও সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম।
মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক পত্রে তাদের বহিষ্কার করা হয়।
দলীয় ও স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এদিন বিকেলে উপজেলা পরিষদ হল রুমে বর্ধিত সভার আয়োজন করে উপজেলা আওয়ামী লীগ। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সিলেট জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলার সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরীসহ জেলার নেতারা। সভায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ছয়জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একজনের নাম প্রস্তাব করা হয়।
এসময় চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রার্থী মনোনয়নের জন্য বর্ধিত পক্ষে-বিপক্ষে মতামত নিয়ে হট্টগোল সৃষ্টি করে সভা পণ্ড করে দেওয়া হয়। উপজেলা যুবলীগ নেতা শামিম আহমদ গুপন ব্যালটের মাধ্যমে প্রার্থী বাছাইয়ের মত প্রকাশ করলে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আপ্তাব আলি কালা মিয়া ও জাহানঙ্গীর আলম প্রকাশ্যে মতামতের ভিত্তিতে প্রার্থী বাছাইয়ের জোর দাবি জানান।
এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সধারণ সম্পাদক শামিম আহমদের পক্ষ নিয়ে গোপন ব্যালটে ভোট নেওয়ার ঘোষণা দিলে উত্তেজনা ও হট্টগোল শুরু হয়। উত্তেজিত নেতাকর্মীরা চেয়ার ভাঙচুর করে শামিমের উপর চড়াও হয়। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। সংঘাত এড়াতে জেলার নেতারা সভা শেষ না করেই সিলেট শহরে ফিরে এসে শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৯
এনইউ/আরআর