ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ভিপি-জিএসদের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে ডাকসু ভবন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৯
ভিপি-জিএসদের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে ডাকসু ভবন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ভবন। ছবি: ডি এইচ বাদল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি): ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ভবন। দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের প্ল্যাটফর্ম ডাকসু নির্বাচন না হওয়ায় প্রাণহীন ছিলো এ ভবনটি।

শিক্ষার্থীরা ডাকসু বলতে বুঝতো  কেবল সংগ্রহশালা আর ক্যান্টিন। দ্বিতীয় তলায় সম্পাদকদের একটি কক্ষ পত্রিকা পাঠ কক্ষ হিসেবে ব্যবহার করা হলেও সেখানে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিলো হাতেগোনা।

 

প্রয়োজন না হওয়ায় প্রায় তিন দশক ধরে অবকাঠামোগত সংস্কার হয়নি ডাকসু ভবনের। ফলে ভবনের ভেতরে আসবাবপত্রও নষ্ট হয়ে গেছে। রং উঠে শ্যাওলা পড়েছে দেওয়ালগুলোতে। এর কারণে ডাকসু ভবনকেও মনে হতো প্রাণহীন।

কিন্তু দীর্ঘদিন পর নেতৃত্ব বিকাশ ও সংস্কৃতিচর্চার ডাকসু নির্বাচনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে অচলায়তন ভেঙে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। তাই আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে ডাকসু ভবনেরও সংস্কারে হাত দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ভিপি-জিএস (সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক) ও সম্পাদকদের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে কক্ষগুলো।  

ইতোমধ্যে দেখা গেছে, সুনির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা না থাকায় ডাকসু ভবনের চারদিকের দেওয়ালে বিক্ষিপ্তভাবে লাগানো হতো পোস্টার, ব্যানার। বিভিন্ন সংগঠনগুলোর দেওয়াল লিখনের মাধ্যমে সৌন্দর্যহানি চলত প্রায়ই। ভবনের সামনে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ লেখা সাইনবোর্ডটির রঙও মিয়ম্রাণ পড়েছিল। নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল আসবাবপত্র, জানালাসহ মূল্যবান সবকিছুই। তবে বর্তমানে সম্পূর্ণ ডাকসু ভবনে রং তুলির আঁচড়, কক্ষের সৌন্দর্য বৃদ্ধির মাধ্যমে নতুনত্ব আনার চেষ্টা চালছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ভবনটির চারদিকের পোস্টার তুলে ফেলা হয়। পাশাপাশি দেওয়াল লিখনগুলো মুছে নতুন রঙ করা হয়। ডাকসুর সাইনবোর্ডেও উজ্জ্বল রং ব্যবহার করা হয়। দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, এজিএস, সম্পাদকের কক্ষ, কমনরুম, সভা কক্ষে নতুন বোর্ড লাগানো হয়। নষ্ট ও ময়লাযুক্ত চেয়ার, টেবিল সরিয়ে রাখা হয়। পরিচ্ছন্নকর্মীরা পানির সাহায্যে মেঝে পরিষ্কার করছেন। অফিস কক্ষের বিপরীতে লাগানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। প্র্রায় সব কক্ষেই নতুন করে লাগানো হয়েছে বৈদ্যুতিক পাখা ও বাতি। তবে ওয়াশরুমের সংস্কার এখনো শেষ হয়নি।  

কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে নির্মাণ শ্রমিক তাজুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা আটজন কাজ করছি। রং ও বোর্ড পরিবর্তন করা হচ্ছে। আরো সপ্তাহখানেক সময় লাগবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সব ধরনের কাজ একসঙ্গে দেয়নি। এর কারণে একটু সময় বেশি লাগছে। তবে নির্বাচনের আগে শেষ করতে পারবো।  

ডাকসুর অফিস প্রধান আবুল কালাম আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, আমরা সংস্কার কাজ পরিচালনা করছি। আশা করছি এ সপ্তাহের মধ্যে শেষ করতে পারব।

বাংলাদেশ সময়: ০৯০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৯
এসকেবি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।