এদিকে এ ঘটনায় জেলা পরিষদ সদস্য ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ১১ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার (৩ মার্চ) বিকেলে রায়গঞ্জের ধানগড়া গার্লস হাইস্কুল মাঠে মতবিনিময় সভা চলাকালে এ হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে ধামাইনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক নয়ন, আওয়ামী লীগ কর্মী রাকিব ও মতিনের নাম জানা গেছে।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ইমরুল হাসান ইমন তালুকদার বাংলানিউজকে জানান, বিকেলে ধানগড়া গার্লস হাইস্কুলে শান্তিপূর্ণভাবে উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা চলছিল। সভায় জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী (আনারস) শোভন সরকারের সমর্থকরা মোটরসাইকেলে করে এসে রাম দা ও পিস্তলসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কর্মীসভায় অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারীরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এবং সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্নার গাড়িসহ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। এ সময় নৌকার সমর্থকরা তাদের বাধা দিলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে অন্তত ১০/১২ জন নেতাকর্মী আহত হন।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী ও ছাত্রলীগের সভাপতি শোভন সরকার বাংলানিউজকে বলেন, আমার কর্মী-সমর্থকরা ধানগড়া বাজার এলাকায় আনারস প্রতীকের মিছিল করছিল। এ সময় নৌকার সমর্থকরা তাদের ওপর হামলা চালায়। বিনা কারণে আমার সমর্থকদের পুলিশ আটক করেছে।
রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পঞ্চানন্দ সরকার বলেন, দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। এ ঘটনায় উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য গোলাম হাসান সরকার সুমন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পদক ইলিয়াছ হোসেনসহ ১১ জনকে আটক করা হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, দলের কর্মীসভায় হামলা চালিয়েছে শোভন সরকারের সমর্থকরা। দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী শৃঙ্খলাবিরোধী কাজে লিপ্ত থাকায় তাদের বিরুদ্ধে বহিষ্কারসহ কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়াও হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪২ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০১৯
আরএ