তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে আইনের শাসন, ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার নেই। দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে।
শিমুল বিশ্বাস বলেন, এই মামলার বিষয়ে সব আসামিদের রাজনৈতিকভাবে উচ্চ আদালতে প্রয়োজনীয় ও আইনগত সহযোগিতা দেওয়া হবে।
সেখানে উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, পাবনার আদালতের রায়ে সরকারের নিষ্ঠুর দানবীয় রূপের বহিঃপ্রকাশ। যদিও এ মামলায় এমন শাস্তি হওয়ার কথা নয়। সরকারের সব অপকর্মের বিরদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে রুখে দাঁড়াতে হলে সবাকে বিপদে ধৈর্য ধরে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক জহুরুল ইসলাম, ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক, আতাউর রহমান পাতা, আমিনুল ইসলাম স্বপন, জেলা যুবদলের সভাপতি মোসাব্বির হোসেন সঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক হিমেল রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক আনিস আহমেদ, পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন জুয়েল, জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি আরিফ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আমিরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, পৌর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনে গুলি ও বোমা হামলার ঘটনায় করা মামলার রায়ে নয়জনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। একই মামলায় ২৫ জনকে দেওয়া হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। এ ছাড়া ১৩ জনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড হয়েছে। গত বুধবার দুপুরে স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৩–এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. রুস্তম আলী এ আদেশ দেন। আলোচিত এ মামলায় রায়ে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া নয়জন আসামির প্রত্যেককে পাঁচ লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। যাবজ্জীবন দণ্ড পাওয়া ২৫ জনের প্রত্যেককে তিন লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। আর ১৩ জনের প্রত্যেককে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০১৯
এসএইচ