বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা প্রশাসন আয়োজিত জাতির জনকের ৪৪তম শাহাদৎবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সভায় প্রধান অথিতির বক্তব্য এ সব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ঘাতকরা জাতির পিতাকে হত্যা করলেও তার নীতি ও আদর্শকে মুছে ফেলতে পারেনি।
এম এ মান্নান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তিরা দেশকে পিছিয়ে রেখেছিল। কিন্তু আজকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে। প্রধানমন্ত্রী পিতা ও পরিবার হারানোর শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশকে মধ্যম-আয়ের এবং উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে প্রধানমন্ত্রী ‘রূপকল্প-২০২১’ ও ‘রূপকল্প-২০৪১’ ঘোষণা করেছেন। এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী আরো বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা যারা করেছে তারা সবাই দণ্ডপ্রাপ্ত খুনি। তাই তারা যেখানেই থাকুক না কেন, খুব শিগগিরই তাদের দেশে এনে শাস্তি কার্যকর করা হবে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নুরুল হুদা মুকুট, আফতাব উদ্দিন আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন, সিভিল সার্জন ডা. আশুতোষ দাস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, পিপি অ্যাডভোকেট শামছুন নাহার শাহানা রব্বানী, সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম প্রমুখ।
এর আগে সকালে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সরকারি কর্মকর্তারা সুনামগঞ্জ কালেক্টরেট চত্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে একটি র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শিল্পকলা একাডেমিতে গিয়ে সভায় মিলিত।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৯
এসএইচ