এসময় আহত হয়েছেন আরও একজন। তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় দর্শনা রেলগেটে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর গোটা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
নিহত নাইমুল ইসলাম পল্টু দামুড়হুদা উপজেলার ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রউফের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বেশ কিছুদিন ধরে দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনাতে যুবলীগের দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধের জেরে শুক্রবার বিকেলে মান্নান-তোতা-ছোট ও হেলাল-মঞ্জুর গ্রুপের সমর্থকরা দর্শনা রেল গেটের কাছে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে মান্নান-তোতা-ছোট গ্রুপের নেতাকর্মীদের হামলায় ঘটনাস্থলেই মারা যায় নাইমুল ইসলাম পল্টু। গুরুতর আহত হয় মঞ্জুর আহম্মেদ। তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত যুবলীগ কর্মী মঞ্জুর আহম্মেদ দাবি করেছেন, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ধারালো অস্ত্র নিয়ে দামুড়হুদা উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান ছোট, দর্শনা পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আসলাম উদ্দীন তোতা ও সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নানের নেতৃত্বে ৬/৭ জন তাদের ওপর হামলা করে। এ সময় যুবলীগ কর্মী পল্টুকে উপর্যুপরি কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তাকেও কুপিয়ে জখম করা হয়।
তবে দর্শনার একাধিক বিশ্বস্ত সূত্র নিশ্চিত করেছে, মাদকের ব্যবসা নিয়ে ওই দুই গ্রুপের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরেই বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধের জেরে তিন মাস আগে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল। সে সময় কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও শুক্রবারের হামলায় প্রাণ হারাল যুবলীগ কর্মী নাইমুল ইসলাম পল্টু।
দামুড়হুদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম জানান, নিজেদের মধ্যে অন্তঃকোন্দলে যুবলীগ কর্মী পল্টু খুন হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য পেয়েছি। হামলাকারীদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দর্শনার বেশ কয়েকটি স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে, চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়াদ্দার ও যুগ্ম আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান এক বিবৃতিতে বলেছেন, দর্শনায় নিজেদের মধ্যে হামলায় নিহত নাইমুল ইসলাম পল্টু ও হামলাকারীরা কেউই যুবলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৯
আরএ