রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার বাংড়া ইউনিয়নের সাকরাইল গ্রাম থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন- বাংড়া ইউনিয়ন নারী জামায়াতের সভাপতি রত্না বেগম (৩৫), সাধারণ সম্পাদক আইনুন্নাহার (৫০), একই গ্রামের জামায়াতকর্মী হাওয়া বেগম (৪০), লিপি বেগম (৪০), রাবেয়া বেগম (৬৫), হাফিজা আক্তার (৩৫), লাকি বেগম (৩৮), ফরহাদ (১৯), সৈকত হোসেন (১৯) ও আনোয়ার হোসেন (৫৫)।
কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন বাংলানিউজকে জানান, গোপন সংবাদে ভিত্তিতে বিকেলে সাকরাইল গ্রামে স্কুলশিক্ষক আনোয়ার হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ওই ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। আনোয়ার ইউনিয়ন মহিলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক আইনুন্নাহারের স্বামী এবং সৈকত তার ছেলে। অভিযানে ২৮টি জিহাদি বই ও লিফলেট উদ্ধার করা হয়।
কালিহাতী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সানোয়ার হোসেন বাদী হয়ে গ্রেফতারদের নামে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেফতারদের সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চাওয়া হবে।
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সঞ্জিত কুমার রায় বাংলানিউজকে বলেন, গ্রেফতাররা এ অঞ্চলে কোনো নাশকতার জন্য তৎপর ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত ১০ সেপ্টেম্বর গোপালপুর উপজেলার নলীন এলাকা থেকে ৩৬ জন জামায়াত-শিবির কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৯
এসআরএস