ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

জি কে শামীমকে আদালতে নেওয়া হচ্ছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৯
জি কে শামীমকে আদালতে নেওয়া হচ্ছে র‌্যাবের অভিযানে আটক করা হয় জি কে শামীমকে

ঢাকা: চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে আটক এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে গুলশান থানা থেকে আদালতে নেওয়া হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও মানিলন্ডারিংয়ে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেল পৌনে ৬টার দিকে তাকে নিয়ে আদালতের পথে রওনা হয় গুলশান থানা পুলিশ।

এর আগে বিকেলে গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিস) আব্দুল আহাদ বাংলানিউজকে জানান, গুলশান থানায় জি কে শামীমের বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও মানিলন্ডারিংয়ে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

তাকে আদালতে হাজির করে মাদক ও অস্ত্র মামলায় সাত দিন করে ১৪ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে।  

এর আগে জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে রাজধানীর গুলশান থানায় হস্তান্তর করে র‌্যাব।

অস্ত্র মামলায় শামীমের সঙ্গে তার সাত দেহরক্ষীকে আসামি করা হয়েছে। একইভাবে মানিলন্ডারিং মামলায়ও শামীমের সঙ্গে গ্রেফতার সাত দেহরক্ষীকে আসামি করা হয়। তবে মাদক মামলায় শুধুমাত্র শামীমকে আসামি করা হয়েছে।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর নিকেতনে ৫ নম্বর সড়কের ১৪৪ নম্বর ভবনে শামীমের কার্যালয় ঘিরে অভিযান চালায় র‌্যাব। কার্যালয়ের ভেতর থেকে বিদেশি মুদ্রা, মদ, একটি আগ্নেয়াস্ত্র, মাদক, নগদ অর্থ, ২০০ কোটি টাকার এফডিআর চেক উদ্ধার করা হয়। আটক করা হয় আরো সাতজনকে।  

অভিযানের পর র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম জানান, শামীমের অস্ত্রের লাইসেন্স থাকলেও অবৈধ ব্যবহারের অভিযোগ ছিল। তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়েছে। এখানে তার মায়ের ও তার নামে বিপুল পরিমাণ এফডিআর পাওয়া গেছে। তার অস্ত্রের লাইসেন্স থাকলেও অবৈধ ব্যবহারের অভিযোগ ছিলো।

সে সময় র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম বলেন, সুনির্দিষ্ট ও টেন্ডারবাজির সে অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমে আমরা তার (জি কে শামীম) বাসা ঘেরাও করি, সেখান থেকে তার সাতজন দেহরক্ষী, অস্ত্র, শর্টগান ও গুলি উদ্ধার করা হয়। এরপর তাকে সঙ্গে নিয়ে তার অফিসে তল্লাশি চালানো হয়। অভিযানে ১৬৫ কোটি টাকার বেশি এফডিআর চেক পাওয়া যায়। এর মধ্যে ১৪০ কোটি টাকার এফডিআর তার মায়ের নামে, বাকি ২৫ কোটি টাকা তার নামে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৯
পিএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।