ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

২১ বছর ক্ষমতার বাইরে থেকে তারা কি পদত্যাগ করেছিলেন?

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০২০
২১ বছর ক্ষমতার বাইরে থেকে তারা কি পদত্যাগ করেছিলেন?

ঢাকা: আওয়ামী লীগ ২১ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকলেও কেউ পদত্যাগ করেছিলেন কি না সে বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাহেবের মন্তব্য মানুষ গুরুত্ব দেয় না দাবি করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, তাকে একটা প্রশ্ন করতে চাই, তারা ২১ বছর ক্ষমতার বাইরে ছিলেন।

তারা কি পদত্যাগ করেছিলেন, না কি রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছিলেন? কাজেই তাদের মুখে এ ধরনের কথা শোভা পায় না।

মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে শেরে বাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা ও ফাতেহা পাঠ করার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

‘আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থতার দায়ে বিএনপির সবাইকে পদত্যাগ করা উচিত’ সম্প্রতি এমন মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। তার সেই কথার প্রতিক্রিয়ায় নজরুল ইসলাম এ প্রশ্ন তোলেন।  

বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে যুবদল নেতাদের সঙ্গে জিয়ার সমাধিতে যান নজরুল ইসলাম খান।

খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও বাড়ির বাইরে যাওয়ার বিরুদ্ধে দেওয়া সরকারের নিষেধাজ্ঞা বাতিলের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের মানুষ খালেদা জিয়াকে চায়। জনগণ চায় তাদের মাঝে খালেদা জিয়া ফিরে এসে নেতৃত্ব দিক।

ঢাকা-১৮ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী এসএম জাহাঙ্গীরকে অত্যন্ত যোগ্য প্রার্থী দাবি করে নজরুল ইসলাম বলেন, তিনি যুবদলের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি এবং বিজয়ী হওয়ার মতো অত্যন্ত যোগ্য প্রার্থী। কিন্তু এই সরকারের অনুগত মেরুদণ্ডহীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া অসম্ভব।

বিএনপির এই নেতা বলেন, সাম্প্রতিক কিছু ঘটনায় এটা প্রমাণিত হচ্ছে, যে সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়, যে সরকারের ক্ষমতায় থাকার নৈতিক ভিত্তি নেই। সেই সরকারের আমলে তার মন্ত্রীরা দুর্নীতিগ্রস্ত হয়। দলের নেতারা দুর্নীতিগ্রস্ত হয় এবং সবাই স্বেচ্ছাচারী হয়ে যায়। এর প্রমাণ দেখলাম কক্সবাজারে মেজর সিনহার ঘটনা ও সম্প্রতি নৌবাহিনীর একজন কর্মকর্তার ঘটনা। এই স্বেচ্ছাচারী মনোভাব দূর হওয়া, সম্রাট, পাপিয়া, ফরিদপুরের নেতারাসহ অনেক নেতা অনাচার থেকে বের হওয়ার একটাই পথ হলো জনগণের কাছে দায়বদ্ধ এবং জবাবদিহিতামূলক একটা সরকার প্রতিষ্ঠা করা। আর সেটা সম্ভব শুধু অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে। যার জন্য প্রয়োজন একটা নিরপেক্ষ সরকার ক্ষমতায় থাকা ও যোগ্য নির্বাচন কমিশন থাকা।

এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বরকত উল্লাহ বুলু, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সিনিয়র সহসভাপতি মোরতাজুল করিম বাদরু, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০২০
এমএইচ/এজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।