ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘জামায়াত-বিএনপি ইন্ধন দিয়ে হুজুরদের রাস্তায় নামিয়েছে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০২০
‘জামায়াত-বিএনপি ইন্ধন দিয়ে হুজুরদের রাস্তায় নামিয়েছে’ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন। ছবি: ডি এইচ বাদল

ঢাকা: জামায়াত-বিএনপি ইন্ধন দিয়ে হুজুরদের রাস্তায় নামিয়েছে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন বলেছেন, তারা হেফাজতে ইসলাম, চরমনাইয়ের পীর সাহেবকে উস্কানি দিয়ে দেশে অশান্তি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। এটা সবাই জানে।

এটা জামায়াত-বিএনপির একটি ষড়যন্ত্র।

মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

মাওলানা মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন বলেন, ভাস্কর্য নির্মাণের বিষয়টি ইস্যু করে সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে জামায়াত-বিএনপি। তারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করবে। এমনটা তাদের করতে দেওয়া যাবে না।

তিনি বলেন, চরমোনাইয়ের পীর সাহেব আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন করেছেন। আপনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বসে মাধুর্য ভাষায় কথাগুলো বলতে পারতেন। ভাস্কর্য যদি খারাপ হয়ে থাকে, তাহলে চরমোনাইয়ের পীর সাহেব হুংকার দিচ্ছে কেন? হুংকার দিয়ে তো ইসলাম প্রচার হয় না। আলোচনা করে সমাধান করতে হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভাস্কর্য ইস্যুতে আমরা চাই সন্ধি। আলোচনার মাধ্যমে সমাধান চাই। দেশে কোনো বিশৃঙ্খলা হোক এটা আমরা চাই না।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের চেয়ারম্যান মাওলানা মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন আরও বলেন, বাংলাদেশ একটা গণতান্ত্রিক দেশ। সংবিধান অনুযায়ী দেশ চলে। যারা আলেম অবশ্যই তাদের দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণের কথা ভাবতে হবে। কোনো দুষ্কৃতিকারী মহলকে সুযোগ দেওয়া যাবে না। বেশ কিছুদিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যবহার করে দেশে ভাস্কর্য বিষয়ে এক প্রকার উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশে ভাস্কর্য নির্মাণ করা কোনো নতুন বিষয়ও নয়। প্রাচীনকালে ঈশা খাঁর আমল থেকেই দেশের সোনারগাঁয়ে ভাস্কর্য স্থাপন করা রয়েছে। সারাদেশে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন ভাস্কর্য রয়েছে। জিয়াউর রহমান, মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ভাস্কর্য আছে। পৃথিবীর ইতিহাসে সৌদি আরব, দুবাই, ওমান, কাতার, মিশর, পাকিস্তান ও তুরস্কে ভাস্কর্য রয়েছে। এসব ইতিহাসকে সংরক্ষণের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব আল্লামা হযরত মাওলানা মুফতি শাহাদাত হোসাইন, পীরে কামেল হযরত মাওলানা আজিজুর রহমান বুলবুলী, কাজী মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম, মো. বশির আহম্মেদ, মো. শাহীন খান, মাওলানা তাহেরুল ইসলাম, কারী মাওলানা আব্দুল মান্নান, মাওলানা মো. মনিরুজ্জামান হাফেজ মাওলানা আব্দুল আজিজ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০২০
এসজেএ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।