ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

স্বৈরাচারের শেকড় উপড়ে ফেললে সার্বভৌমত্ব রক্ষা হবে: মান্না

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২০
স্বৈরাচারের শেকড় উপড়ে ফেললে সার্বভৌমত্ব রক্ষা হবে: মান্না

ঢাকা: স্বৈরাচারের শেকড় উপড়ে ফেললেই সার্বভৌমত্ব রক্ষা হবে বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।

বর্তমান সরকার অবৈধ, ভোট চোর, তারা নাগরিকের অধিকার রক্ষা করতে পারে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

মান্না বলেন, এই সরকারকে টিকিয়ে রেখেছে পুলিশ। আজ যদি ওসিরা বলেন, আমরা ডিউটি করতে পারব না, তাহলে দেখবেন, এই সরকার পালানোর পথ পাবে না।

শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর)  দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে সার্বভৌমত্ব রক্ষা পরিষদের প্রথম প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মাহমুদুর রহমান মান্না।

ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, এই সরকার মানুষের জীবনের মূল্য দিতে পারেনি। নারীর সম্মান নষ্ট করেছে। রোহিঙ্গা সামলাতে পারেনি। টাকা পাচার করেছে। ক্ষমতায় থাকতে চুরি করে ভোটের অধিকার হরণ করছে। এই যে জুলুম চলছে। অনেককে গুম করা হয়েছে। আমরাও যে কোনো সময় এর শিকার হতে পারি।

মাহমুদুর রহমান মান্না আরও বলেন, যারা বলেন, এই সরকার বেশিদিন টিকে থাকবে না। আমি বলি, পৃথিবীতে ৩৪ বছর ফ্যাসিবাদ টিকে ছিল। মিশরের হোসনি মোবারক টিকে নাই? আমি বলব, ফ্যাসিবাদ উৎখাত করতে স্বৈরাচারের শেকড় উপড়ে ফেললেই সার্বভৌমত্ব রক্ষা হবে।

পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রসঙ্গে মান্না বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ একটি ভালো কাজ। আমাদের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের উপকার হবে। ভারতের আসাম ও অরুণাচল প্রদেশে ৯ কিলোমিটার সেতু নির্মাণ করতে ১১৮০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু ৬.১৫ কিলোমিটার পদ্মা সেতু বানাতে ইতোমধ্যে ৩০ হাজার কোটি টাকা শেষ। আরও কত টাকা লাগবে বলা যাচ্ছে না। আপনারা বলছেন, নিজের টাকায় পদ্মা সেতু করছেন। আপনারা চীন থেকে ঋণ নেন নাই? যে ঋণ নিয়েছেন ৪ শতাংশ। যে ৬০-৭০ হাজার কোটি টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছেন, জনগণের কাছে সেই হিসাব দেবেন? যে টাকা পাচার করা হয়, প্রতি বছর। এই টাকা দিয়ে প্রতি বছর একটি করে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা সম্ভব।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন বলেন, আজ জাতির ঘাড়ে চরম স্বৈরশাসক বসে আছে। জোর করে ক্ষমতায় থাকার এমন নজির পৃথিবীতে খুবই কম। মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করছে। এদেশ আওয়ামী লীগের কাছে লিজ দেওয়া হয় নাই। ভারতের প্রত্যক্ষ দালালি করে টিকে আছে। জনগণকে রাজপথে নেমে এদের পতন ঘটাতে হবে।

সার্বভৌমত্ব রক্ষা পরিষদের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক সুভাষ চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ইশরাক হোসেন, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর ও বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মীর হেলাল প্রমুখ।

ডাকসুর সাবেক ভিপি নূরুল হক নূর বলেন, বাংলাদেশ আজ চরম সংকটের সম্মুখীন। গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে। বর্তমান সরকার ভারতের গোলামি করে ক্ষমতায় থাকছে, এটা দিবালোকের মতো স্পষ্ট।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২০
টিএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।