ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

মনে হয় ‘পদ্মা সেতু’ তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি: ফখরুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২০
মনে হয় ‘পদ্মা সেতু’ তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি: ফখরুল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

ঢাকা: ‘বিএনপি পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে যাবে না নিচ দিয়ে যাবে’ তথ্যমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “মনে হয় যে তারা তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি দিয়ে তৈরি করেছে। একজন তো বলছে, বিএনপি ওপর দিয়ে যাবে না নিচ দিয়ে? মানে এটা তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি!”

সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, “মানুষের পকেট কেটে কেটে সব নেওয়া হচ্ছে। প্রত্যেকটি মানুষ এখানে ট্যাক্স দিচ্ছে। যেখানে এক টাকা সেখানে দশ টাকা ট্যাক্স দিতে হচ্ছে। ভ্যাটের পরিমাণ তিন/চার/পাঁচগুণ বেড়ে গেছে। অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা যারা ব্যাংকে টাকা রাখতো, তারা বলছে এখন আর পারছি না। এখন আর সংসার চলছে না। এটা হলো বাস্তবতা। আপনারা গভীরভাবে দেখবেন। এখানে যেটা চলছে সেটা হলো উন্নয়নের নামে পুরোপুরিভাবে একটা লুটপাট। প্রত্যেকটা জায়গায় তারা এখন মুনাফা খোঁজে। বাড়িঘর বানাচ্ছে উড়াল সেতু বানাচ্ছে, মেগা প্রজেক্ট বানাচ্ছে। মেগা লুট করছে। ”

পদ্মা সেতু বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, “এই দেশের উন্নয়ন শুরুই হয়েছে বিএনপির সময়ে। উন্নয়ন বলতে গুটি কয়েক মানুষের উন্নয়ন নয়, উন্নয়ন বলতে সাধারণ জনগণের উন্নয়ন। উন্নয়নের ভিত্তি জিয়াউর রহমানের সময় শুরু হয়েছিল, সেই ভিত্তির ওপরেই এখন উন্নয়ন হচ্ছে। আজকে যে রেমিটেন্স আসছে, গার্মেন্ট শিল্প, কৃষি বিপ্লব সবই জিয়াউর রহমানের সময় শুরু হয়েছিল। ”

‘ব্রিজ নির্মাণ, রাস্তা নির্মাণ এটাও উন্নয়ন তবে সবচেয়ে বড় বিষয় হলো-সাধারণ মানুষের কতটুকু উন্নয়ন হলো সেটা। তাদের জীবনযাত্রার মান কতটা পরিবর্তন হয়েছে। আজকে দারিদ্র্যের হার কি কমেছে? সাধারণ মানুষ কি সুবিধাগুলো বেশি পাচ্ছে? তারা কি চিকিৎসা সুবিধা পাচ্ছে?”

বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আজকে চিকিৎসা ব্যবস্থার অবস্থা ভয়াবহ, সরকারি হাসপাতালে গেলে দেখবেন কোনো রকমের চিকিৎসার সুযোগ নেই। টাকা থাকলে চিকিৎসা পাবেন না হলে পাবেন না। শিক্ষার অবস্থা কোথায় দাঁড়িয়েছে সেটা সবাই জানেন। দুর্নীতি কী হারে বেড়েছে। এখন তাদের দলের লোকেরা দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাচ্ছে। যুবলীগ-ছাত্রলীগ যে হারে টাকা পাচার করেছে, আওয়ামী লীগ নেতাদের কানাডা-মালয়েশিয়ায় বাড়িঘর তৈরি হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্বীকার করেছেন যে টাকা পাচার হচ্ছে। তার সঙ্গে আমলারাও জড়িত। কিন্তু প্রকাশ হচ্ছে না। আজকে কোন সেক্টরটা ভালো আছে?”
 
তিনি বলেন, “আমরা সব সময়ই উন্নয়নের পক্ষে। আমাদের দলই হলো উন্নয়নের দল, সৃজনশীলতার দল। আমরা কখনও কোনো নেগেটিভ রাজনীতি করি না। সব সময় পজিটিভ পলিটিকস করি। আমরা সত্যকে সত্য, মিথ্যাকে মিথ্যা, সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বলি। সেটা বলতে গেলেই তাদের গায়ে লাগে। ”

ভাস্কর্য নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আমাদের কাছে প্রধান চ্যালেঞ্জ এখন দুটো। একটা হচ্ছে মানুষের জীবন ও জীবিকা রক্ষা করা, করোনার ভ্যাকসিন সংগ্রহ করা, যারা করোনা আক্রান্ত হয়েছে তাদের চিকিৎসা করা। দ্বিতীয়টি হচ্ছে গণতন্ত্রকে মুক্ত করা। দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা। ”
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২০
এমএইচ/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।