ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সরকারি জমি দখল করে যুবদল নেতার অফিস-দোকান

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২০
সরকারি জমি দখল করে যুবদল নেতার অফিস-দোকান যুবদল নেতার অফিস-দোকান। ছবি: বাংলানিউজ

লালমনিরহাট: লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় সরকারি গোডাউনের মাঠ দখল করে অফিস ও দোকান ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে যুবদলের এক নেতার বিরুদ্ধে।  

জানা গেছে, উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের খাদ্যশস্য মজুদ রাখার জন্য মহিষখোচা বাজারে  একটি এলএসডি গুদাম নির্মাণ করা হয়।

গুদামটি সরকারি কাজে ব্যবহার না হলেও তা মাসিক হাজার টাকা ভাড়ায় ভাড়া দিয়ে রাজস্ব আদায় করছে সরকার। সেই গুদামের মাঠটি জবর দখল করে ৬টি দোকান ঘর নির্মাণ করেন মহিষখোচা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি নুর আলম।  

দীর্ঘদিন ধরে এসব দোকান ঘর ভাড়া দিয়ে ভাড়া আদায় করছেন যুবদল নেতা নুর আলম। শুধু দোকান ঘরই নয়, সেখানে রয়েছে ওই যুবদল নেতার একটি অফিস ঘরও। যেখান থেকে ওই ইউনিয়ন যুবদলের কার্যক্রমের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।  

গুদামের রাস্তাসহ পুরো মাঠটি এবং গুদামের পাশে রাখা জমি পর্যাক্রমে দখলে নিয়েছেন যুবদল নেতা। ফলে অরক্ষিত হয়ে পড়েছে সরকারি শস্য গুদামটি। সরকারের এ জমি উদ্ধার করে এলএসডি গুদামটি সংরক্ষণের দাবি জানিয়ে রোববার (১৩ ডিসেম্বর) আজহার আলী মন্টু নামে অবসরপ্রাপ্ত একজন সেনা সদস্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেন।  

অভিযোগকারী অবসরপ্রাপ্ত সেনা সার্জেন্ট আজহার আলী মন্টু বাংলানিউজকে বলেন, জামায়াত বিএনপির আমলে এলএসডি গুদামের জমিটা দখলে নিয়েছেন যুবদল নেতা নুর আলম। সেখানে তিনি দোকান ঘর নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছেন। সরকারি জায়গা জবর দখল করে অফিসও করেছেন। এভাবে দীর্ঘদিন ধরে বেদখল হয়ে পড়েছে সরকারি জমি। এটি উদ্ধার করে গুদামটি সংরক্ষণ করতে ইউএনও বরাবরে এলাকাবাসীর পক্ষে অভিযোগ দিয়েছি।  

দখলকারী মহিষখোচা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি নুর আলম বাংলানিউজকে বলেন, গুদামের বাহিরটা ফাঁকা ছিল তাই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে বলে আমরা দোকান ঘর করেছি। সরকার চাইলেই আমরা জায়গা ছেড়ে দেব। তবে লিজ নেওয়া হয়নি বলেও জানান তিনি।  

মহিষখোচা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক হোসেন চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, গুদামটি ভাড়া দেওয়া আছে। তার মাঠ ও পাশের খোলা জায়গাটি অনেকেই জবর দখল করে গুদামকে অরক্ষিত করে ফেলেছেন। জবর দখলকারীদের অনেকবার সড়ানোর জন্য চাপ দিলেও কাজ হয়নি। সরকারি জমি উদ্ধার করে গুদামটি সংরক্ষণ করার দাবি জানান তিনি।  

আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে জবর দখলের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে সরকারি সম্পদ উদ্ধার করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২০
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।