ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদের বিষদাঁত ভেঙে দেওয়া হয়েছে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০২১
সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদের বিষদাঁত ভেঙে দেওয়া হয়েছে ওবায়দুল কাদের

ঢাকা: সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদ এদেশের উন্নয়ন এবং ইমেজকে চ্যালেঞ্জ করেছিলো কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসে সে বিষদাঁত আজ ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও অগ্রগতির চলমান ধারায় বাংলাদেশের প্রতিটি জনপদ আজ আলোয় ঝলমল করছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদ এদেশের উন্নয়ন এবং ইমেজকে চ্যালেঞ্জ করেছিলো।

কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসে সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদের সে বিষদাঁত আজ ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (৯ জানুয়ারি) সকালে ওবায়দুল কাদের ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপকমিটির এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।  

ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
এ সময় ওবায়দুল কাদের ছাত্র রাজনীতিকে সুনাম ও ঐতিহ্যের ধারায় ফিরিয়ে আসার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

ওবায়দুল কাদের যারা এখনো তরুণদের পেট্রোল বোমা, আগুন সন্ত্রাস ও উগ্র সাম্প্রদায়িকতার পথে ঠেলে দিচ্ছে, তাদেরকে এসব নেতিবাচকতা থেকে বেরিয়ে আসারও আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, জাতি আজ লোডশেডিংয়ের অভিশাপ থেকে মুক্ত হয়েছে, ডিজিটাল প্রযুক্তির ছোঁয়ায় বদলে যাচ্ছে সেবাখাত। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল মানুষ পাচ্ছে।
প্রযুক্তির ব্যবহার ও সুযোগ-সুবিধা এখন বিশ্বমানের বলেও জানান তিনি।

তরুণ প্রজন্ম আজ মাদক, সাইবার অপরাধ, আকাশ সংস্কৃতির নেতিবাচক দিকসহ নানান চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করছে জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রযুক্তি যেমনি বদলে দিয়েছে তেমনি এর ক্ষতিকর প্রভাবও রয়েছে। একদিকে প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে আন্তর্জাতিক মানের ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে হবে, অপরদিকে এর নেতিবাচক দিক থেকে তরুণদের সুরক্ষা করতে হবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এসব বাস্তবতায় শেখ হাসিনা সরকারের দেওয়া সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগিয়ে দেশের তরুণ-তরুণীদের মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে এবং ক্যারিয়ার গড়তে প্রতিটি পরিবারের পাশে থাকতে চায় আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুব উন্নয়ন কার্যক্রম সম্প্রসারণ এবং শিক্ষা  সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড জোরদার ও ক্রীড়া চর্চার মাধ্যমে সামাজিক মূল্যবোধের কাজ করছে। তারুণ্যের শক্তিকে রাষ্ট্র নির্মাণে কাজে লাগাতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন ৷

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, মেধাবীদের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করতে হবে। তারা রাজনীতিতে না এলে রাজনীতি মেধাশূন্য হয়ে পড়বে। চরিত্রবানরা রাজনীতিতে না এলে রাজনীতি চরিত্রহীনদের হাত চলে যাবে।

জিয়াউর রহমানের সময় হিজবুল বাহারে বিহারের মাধ্যমে মেধাবী শিক্ষার্থীদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে অপরাজনীতি শুরু হয়েছিলো কিন্তু শেখ হাসিনা সে অপরাজনীতি বন্ধের মাধ্যমে শিক্ষাঙ্গনে স্বস্তি এবং লেখাপড়ার পরিবেশ ফিরিয়ে এনেছে বলেও জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।

শিক্ষা  ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবদুল খালেকের সভাপতিত্বে কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক সামছুন্নাহার চাঁপা ও আওয়ামী লীগের গবেষণা সংস্থা ‘সিআরআই’র সদস্যরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০২১
এসকে/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।