হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনের আগের রাতেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মনোনীত মেয়রপ্রার্থীদের উপস্থিতিতে সহিংসতা হয়েছে। এতে ছয়জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) দিনগত রাত দেড়টায় পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের গোয়াহরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের পাশে এ ঘটনা ঘটে। সহিংসতার সময় আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী গোলাম রসুল চৌধুরী রাহেল এবং বিএনপির প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র ছাবির আহমেদ চৌধুরী ঘটনাস্থলেই ছিলেন বলে জানা গেছে।
ছুরিকাহত ব্যক্তির নাম শফিক মিয়া (৩৫)। তিনি পৌর এলাকার মারুফ মিয়ার ছেলে ও বিএনপি মনোনীত মেয়রপ্রার্থীর চাচাতো ভাই। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ছুরিকাঘাতে শফিকের পেট থেকে ভুরি বেড়িয়ে গেছে। এছাড়া আরও পাঁচজন আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। তবে তারা কোন প্রার্থীর সমর্থক তা জানা যায়নি। ঘটনার সময় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর একটি প্রাইভেটকারে ভাঙচুর চালানো হয়।
রাত ২টায় মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী গোলাম রসুল চৌধুরী রাহেল বলেন, তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এখন কথা বলতে পারবেন না। তবে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী জানান, আওয়ামী লীগের প্রার্থীর উপস্থিতিতে তিনি ও তার লোকজনের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। আওয়ামী লীগ প্রার্থীর লোকজন নিজেরাই তাদের গাড়ি ভাঙচুর করেছেন।
নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ মহিউদ্দিন জানান, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অভিযোগ করেছেন বিএনপির প্রার্থী নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে রাতে প্রচারণায় গিয়েছিলেন। অন্যদিকে, বিএনপির প্রার্থী বলছেন তিনি পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে একটি নিমন্ত্রণে গিয়েছিলেন। তখন আওয়ামী লীগের লোকজন তার ওপর হামলা করেছে।
তিনি আরও জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই দু’পক্ষে মারামারি হয়ে যায়। ঘটনা খুঁজে বের করতে তদন্ত চলছে।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ-বাহুবল সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পারভেজ আলম চৌধুরী ও নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুর রহমানের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তারা কল রিসিভ করেননি।
বাংলাদেশ সময়: ০৩২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২১
ওএইচ/